সদ্য ৩ মাসের মেয়েকে নিয়ে পেলিং থেকে ঘুরে ফিরেছেন। এরপর নতুন বছর শুরুর আগেই শ্যামসুন্দরী মন্দিরে পুজো দিলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। মন্দিরের সামনে স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ মল্লিকের সঙ্গে ছবিও তুলে পোস্ট করেছেন বিধায়ক-অভিনেতা। মঙ্গবার রাতে সেই ছবি পোস্ট করেই সকলকে নতুন বছরের শুভচ্ছা জানিয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক।
কাঞ্চন মল্লিকের সেই পোস্টের ক্যাপশান ছিল ‘মায়ের আশীর্বাদে নতুন বছর সকলের খুব ভালো হোক, জয় মা শ্যামসুন্দরী’। কিন্তু কোথায় রয়েছে এই কালী মন্দির?
এই শ্যামসুন্দরী কালী মন্দির রয়েছে উত্তর কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিটে। অনেকেরই বিশ্বাস এই মন্দির খোদ জীবন্ত কালীর। এই মন্দিরে মেয়ে রূপে পূজিত হন শ্যামসুন্দরী মা। তাই এই মন্দিরে অম্ববাচি পালিত হয় না, আবার বলি প্রথাও নেই। তাই মন্দিরের ভোগে মাছ-মাংস নিষিদ্ধ। তবে ভক্তদের বিশ্বাস মা শ্যামসুন্দরী কখনও খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না। ভক্তের কাতর প্রার্থনায় সাড়া দেন তিনি। পূরণ হয় মনোবাঞ্ছাও। আবার এখানে দেবীর গা ঘেঁষেই রয়েছে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা। আবার শ্যামসুন্দরীর পাশের ঘরেই রয়েছেন ভৈরব। উত্তর কলকাতার সেই সুকিয়াস্ট্রিটের মন্দিরেই পুজো দিতে গিয়েছিলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী।
আরও পড়ুন-ব্য়াটে রান নেই, অনুষ্কার হাত ধরে সিডনিতে পার্টিতে মডে বিরাট, সঙ্গে আর কে?
তবে শুধু কালীমন্দিরে পুজো দেওয়াই নয়, পাশে শিবমন্দিরেও শিবের মাথায় জল ঢালতে দেখা গিয়েছে কাঞ্চন-শ্রীময়ীকে। আবার নিজের হাতে অনেককে ভোগও বিতরণ করে খাইয়েছেন এই তারকা দম্পতি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি TVকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক জানিয়েছিলেন তাঁর কাছে এই ২০২৪ বছরটা ছিল ধৈর্য্যের বছর। তিনি তাঁর তৃতীয় স্ত্রী প্রসঙ্গে বলেন, সুখে-দুঃখে সব সময় ছায়াসঙ্গীর মতো তাঁর পাশে ছিলেন শ্রীময়ীই। শ্রীময়ী যদি তাঁর পাশে না থাকতেন তাহলে তাঁ জন্য প্রতিটা মুহূর্তে আরও কঠিন হয়ে উঠত বলে মনে করছেন বিধায়ক অভিনেতা। কাঞ্চনের কথায়, ‘অকল্পনীয়’। শ্রীময়ী প্রসঙ্গে কাঞ্চন আরও বলেন বলেন, ‘অনেক কিছু সহ্য করেছে ও। শ্রীময়ী না থাকলে বোধহয় আমি এতটা পথ এই প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে হাঁটতে পারতাম না।’
কাঞ্চনের কথায়, ‘বিপদেই তো মানুষ চেনা যায়। ২০২৪-এ আমি প্রচুর মানুষ চিনলাম। বন্ধু-আত্মীয় অনেককেই চিনলাম। তাঁরা যেন ভাল থাকেন এই প্রার্থনা করব।’ আবার স্ত্রীর উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা ‘জীবন যাই হোক না কেন, তুমি তো আমায় সব থেকে ভাল চেনো, পাশে থেকো, কৃষভির হাতটা ধরে রেখো, আমি ছিলাম, আছি, থাকব।’