বি-টাউনে তাঁর নাকি শত্রুর অভাব নেই! এমনটাই মনে করেন কঙ্গনা রানাওয়াত। যেকারণে মাঝে মধ্যেই বলিপাড়ার কোনও না কোনও তারকার উপর চোটপাট করতে দেখা যায় কঙ্গনাকে। রবিবারের পর সোমবারও সকাল সকাল বেজায় চটে লম্বা একখানা ইনস্টাস্টোরি পোস্ট করেছেন বলিউডের 'কুইন'। এবার কী অভিযোগ কঙ্গনার? কে-ই বা তাঁর নিশানায়?
এবার কঙ্গনা রানাওয়াতের অভিযোগটা ভীষণ গুরুতর। রবিবার ইনস্টাস্টোরিতে 'কুইন'-এর দাবি ছিল, তাঁর উপর গুপ্তচরবৃত্তি চালানো হচ্ছে। সোমবার কঙ্গনা ফের লেখেন, ‘আমি রবিবার নজরদারির অভিযোগ করার পরই আজ দেখছি, কেউ আর আমার পিছু নিচ্ছেন না। ’ তাঁর পাল্টা হুঁশিয়ারি, ‘তোমরা গ্রামের দেহাতি কারোর মুখোমুখি কখনও হওনি। ভালোয় ভালোয় শুধরে যাও, নাহলে বাড়িতে ঢুকে মারব। লোকে আমায় পাগল বলে, কিন্তু জানে না আমি কত বড় পাগল।’
রবিবার কঙ্গনার অভিযোগ ছিল, তিনি যেখানেই যাচ্ছেন, তাঁর উপর ক্যামেরা তাক করে লাগানো রয়েছে। শুধু রাস্তা নয়, বিল্ডিং, পার্ক, বাড়ির ছাদেও নজরদারি চলছে। ক্যামেরায় আলাদা করে জুম লেন্স লাগানো হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘সকলেই জানেন, পাপারাৎজিদের টাকা দিলে তারকাদের তাঁরা পিছু নেন, কিন্তু আমি বা আমার টিম কেউ তাঁদের টাকা দিচ্ছে না, তাহলে কে আমার উপর ক্যামেরা তাক করার জন্য তাঁদের টাকা দিচ্ছেন? ভোর সাড়ে-৬টায় উঠে ওঁরা আমার পিছু নিচ্ছেন, আমি কখন, কবে , কোথায় যাচ্ছি, এই সময় সূচি পাচ্ছেনই বা কীভাবে? আর আমার ছবি তুলে সেই ছবিগুলো দিয়ে তাঁরা কীই বা করবেন? রবিবার সকালে আমি আমার কোরিওগ্রাফির ক্লাস শেষ করেছি, তখন কাউকে স্টুডিওতেও আসতে বলা হয়নি, তারপরেও রবিবার সকাল সকাল পাপারাৎজি এসে হাজির।’
কঙ্গনার অভিযোগ ছিল, ‘আমি নিশ্চিত কেউ বা কারা আমার হোয়াটসঅ্যাপের ডাটা কেউ ফাঁস করে দিচ্ছেন, যে কারণে আমার ব্যক্তিগত জীবনের সমস্ত তথ্য জেনে যাচ্ছেন কেউ।’ এখানেই শেষ নয়, কারোর নাম না করে কঙ্গনা লেখেন, ‘একবার নেপো মাফিয়া ক্লাউন অযাচিতভাবে নিজেই আমার বাড়ি এসে হাজির হয়েছিলেন, আমার উপর জবরদস্তি করেছিলেন। যিনি কিনা বলিউড মেয়েবাজ, ক্যাসানোভা বলে চেনে। এখন উনিই আবার নেপো মাফিয়া ব্রিগেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট। নিজের স্ত্রীকেও প্রযোজনা করতে জোর করেছেন। নারী কেন্দ্রিক ছবি বানিয়ে আমার মতো হওয়ার চেষ্টা করছেন। বাড়ির ইন্টিরিয়র সাজাচ্ছেন আমার মতো করে, আমার হেয়ার স্টাইলিস্ট, হোম স্টাইলিস্টকে নিযুক্ত করেছেন। ওঁরা এখন আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইছেন না।’
কঙ্গনার আরও দাবি, ‘আমাকে নিয়ে ওঁর স্বামীর পাগলামিকে সমর্থন আবার স্ত্রীই করছে। আমি আমার ভাইয়ের বিয়েতে যে শাড়ি পরেছিলাম, ও আবার নিজের বিয়েতে ওই ধরনের শাড়ি পরেছে। আমার সঙ্গে কাছের মানুষদের ঝগড়া লাগিয়ে দিচ্ছেন। আমাকে একঘরে করার চেষ্টায় রয়েছেন ওঁরা’। কঙ্গনার খোঁচা, ‘খারাপ লাগে এই যে স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকেন, একই বিল্ডিংয়ের আলাদা তলায় বাস করেন। খারপটা ক্যাসানোভার স্ত্রীর জন্যই লাগে। স্বামীর বদনাম হলে সদ্যোজাতর উপর খারাপ প্রভাব পড়বে, সেইভেবে চুপ থাকেন স্ত্রী। কিন্তু ওঁর উচিত স্বামীর উপর নজর রাখা। আমার সমস্ত তথ্য জোগাড় করে কী করতে চান তাঁর স্বামী? স্ত্রীর জানতে চাওয়া উচিত ওঁর স্বামী কোনও বেআইনি কাজ করছেন না তো? যাইহোক সদ্যোজাত শিশুটির জন্য অনেক ভালোবাসা রইল।’ কঙ্গনা তাঁর নিশানায় কারোর নাম না নিলেও 'কুইন'-এর ইঙ্গিতেই নেটপাড়ার বাসিন্দারা বুঝে গিয়েছেন, কঙ্গনা ক্যাসানোভা বলতে রণবীর কাপুর আর ওঁর স্ত্রী বলতে আলিয়া ভাটের কথা বলেছেন। আর তাঁদের সদ্যোজাত সন্তান হলে ‘রাহা’ কাপুর।