কঙ্গনা রানাওয়াত আর বিতর্ক যেন সমার্থক। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন হোক বা কাজ সবটা নিয়েই চর্চায় থাকেন অভিনেত্রী তথা সাংসদ। বর্তমানে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) থেকে শংসাপত্র প্রাপ্তিতে বিলম্বের কারণে কঙ্গনা পরিচালিত ছবি 'ইমার্জেন্সি'-এর মুক্তি পিছিয়ে গিয়েছে। তাছাড়াও এই ছবিকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক। তার মাঝেই আরজি করের তরুণী ডাক্তারের খুন ও ধর্ষণ নিয়ে সরব হলেন অভিনেত্রী। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের নানা খারাপ দিক নিয়েও মুখ খুললেন।
সম্প্রতি, অভিনেত্রী সমাজে নারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে নানা কথা বলেছেন। আর তা বলতে গিয়েই বলিউড অভিনেতাদের বিরুদ্ধে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে থাকা মেয়েদের লাঞ্ছনা ও শোষণের কথা তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: শাহরুখের ছেলের হাত শক্ত করে ধরলেন সলমন! আরিয়ানের স্টারডমে থাকছেন ভাইজান
নিউজ ১৮ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, কঙ্গনা তুলে ধরেন যে কীভাবে কিছু বলিউডের অভিনেতা মহিলাদের শোষণ করেন। কঙ্গনা জানান যে, তাঁরা প্রায়শই মহিলাদের নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান, নানা রকমের ম্যাসেজ করেন, তাঁদের বাড়িতে আসার কথাও বলেন।
কঙ্গনা উল্লেখ করেছেন যে, সমাজে মহিলাদের সম্মান করার প্রতি সার্বিক ভাবে অভাব রয়েছে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিও এর ব্যতিক্রম নয়। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, অল্প বয়সী কলেজের ছেলেরা যেমন মহিলাদের নিয়ে নানা খারাপ মন্তব্য করে না বুঝে, তেমনই আচরণ নায়করাও করে থাকে, তবে একবারেই বুঝে। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের মুখোমুখি হলে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে অভিনেতারা।
আরও পড়ুন: বাবার সঙ্গে বরফে ঢাকা পাহাড়ে গিয়ে গরম পানীয়ে চুমুক সানির! ভিডিয়ো দেখে ববি বললেন…
প্রয়াত নৃত্য শিল্পী সরোজ খানের প্রসঙ্গ টেনে কঙ্গনা বলেন, ‘সরোজ খানকে একবার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়ন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি বলেছিলেন, 'ধর্ষণ তো করে, তবে তারা রুজিরুটিও দেয়।' আজও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মেয়েরা নিরাপদ নয়, তাঁদের নানা ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়।’
প্রসঙ্গত, এখনও ‘ইমার্জেন্সি’ ছবিখানা সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) থেকে শংসাপত্রের অপেক্ষায় রয়েছে। ছবিতে কঙ্গনা ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন শ্রেয়াস তলপড়ে, অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী এবং মিলিন্দ সোমন।
উল্লেখ্য, জাপকির নিবন্ধনের নথি অনুসারে জানা গিয়েছে, বিজেপি সাংসদ তথা বলিউডের অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত মুম্বইয়ের বান্দ্রার পালি হিল এলাকায় তাঁর বাংলোটি ভারতীয় মুদ্রায় ৩২ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে কঙ্গনা রানাওয়াত বাংলোটি ভারতীয় মুদ্রায় ২০ কোটি টাকায় কিনেছিলেন। অন্তত নথিগুলি থেকে সেই কথাই প্রকাশ্যে এসেছে। নথিতে অনুসারে জানা গিয়েছে, বাংলোটি ৩০৭৫ বর্গ ফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং এখানে ৫৬৫ বর্গ ফুট পার্কিং স্পেস রয়েছে।