ধর্মীয় উত্তেজনার ছড়ানোর অভিযোগে গত শনিবারই কঙ্গনা রানাওয়াত ও তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছিল মুম্বইয়ের এক আদালত। কোর্টের রায় মেনে সেইদিনই বান্দ্রা থানায় এফআইআর দায়ের হয়। সেই মামলাতেই দুই বোনকে সমন পাঠাল মুম্বই পুলিশ, জানিয়েছে সংবাদ এএনআই। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করেছেন কঙ্গনা ও তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেল এমনই অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
দেশদ্রোহীতার (১২৪এ) মতো গুরুতর অভিযোগ অভিযোগ রয়েছে কঙ্গনা ও রঙ্গোলির বিরুদ্ধে। আগামী ২৬ ও ২৭ অক্টোবর অর্থাত্ সোমবার এবং মঙ্গলবার বান্দ্রা থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের। অভিনেত্রীর পরিবারে বিয়ের আনন্দের মাঝেই এল এই খবর। আপতত নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশেই রয়েছেন কঙ্গনা। আজই সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রীর তুতোভাই করণ। আগামী মাসেই বিয়ের তারিখ পাকা রয়েছে কঙ্গনার নিজের ভাই অক্ষতের।
বান্দ্রা ম্যাজিস্ট্রেট মেট্রোপলিটন কোর্টের তরফে পুলিশকে কঙ্গনা ও তাঁর দিদির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।কাস্টিং ডিরেক্টর তথা ফিটনেস ট্রেনার মুন্নাওয়ার্লি সৈয়দের পিটিশনের শুনানিতে এই রায় দেয় আদালত।
এদিন নিজের রায়ের কপিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জায়দেও খুলে জানান- ‘প্রাথমিকভাবে যা অভিযোগ জমা পড়েছে তাতে অভিযুক্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলেই উঠে আসছে। ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে করা মন্তব্যের ভিত্তিতে এই অভিযোগ- টুইটার এবং নানান সাক্ষাত্কার। অভিযুক্ত টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেছেন। যদিও এই নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বিশেষজ্ঞদের দ্বারা… অনুসন্ধান এবং প্রমাণ বাজেয়াপ্ত করা জরুরি’।
এই এফআইআরের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ কঙ্গনা মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস, শিবসেনা এবং এনসিবির মহাআগাড়ি জোটকে বিঁধে টুইট করেন- ‘আজ নবরাত্রিকে কারা উপবাস করছেন? আজকের সেলিব্রেশনের ফাঁকে তোলা এই ছবি গুলো। আমিও উপবাস করছি। আর আজ আমার বিরুদ্ধে আরও একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে, মহারাষ্ট্রের পাপ্পু সেনা আমাকে নিয়ে একটু বেশিই অবসেশড। আমাকে বেশি মিস করো না শীঘ্রই আমি ওখানে হাজির হব’।