Emergency Film:সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে ঝামেলা! ইমার্জেন্সির মুক্তি পিছল, কবে আসবে কঙ্গনার সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে

কঙ্গনা রানাওয়াত জানিয়েছেন যে, তিনি 'এখনও সেন্সর বোর্ডের শংসাপত্রের জন্য অপেক্ষা করছেন'। তাই ৬ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত দিনে মুক্তি পেল না ইমারজেন্সি।

শুক্রবার কঙ্গনা রানাওয়াত টুইট করে জানান, বিতর্কে জড়িয়ে পড়া তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত সুিনেমা ইমারজেন্সি-র মুক্তি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা এই ছবিতে। প্রাথমিকভাবে ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল এই সিনেমার। তিনি 'ভারাক্রান্ত হৃদয়ে' খবরটি ভাগ করে নেওয়ার সময় ভক্তদের তাদের 'ধৈর্য রাখার' জন্যও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 

'নতুন মুক্তির তারিখ শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে',

কঙ্গনা এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বের টুইটার) পোস্ট করেন, ‘ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি ঘোষণা করছি যে আমার পরিচালিত সিনেমা ইমারজেন্সি স্থগিত করা হয়েছে, আমরা এখনও সেন্সর বোর্ডের শংসাপত্রের জন্য অপেক্ষা করছি। নতুন মুক্তির তারিখ শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। আপনাদের বোঝাপড়া এবং ধৈর্যের জন্য ধন্যবাদ (হাত জোড় করা ইমোজি)।’ ছবিতে তিনি ছাড়াও অভিনয় করেছেন অনুপম খের এবং প্রয়াত সতীশ কৌশিক।

কঙ্গনার নতুন টুইটের প্রতিক্রিয়া 

এক এক্স ব্যবহারকারী কঙ্গনার ঘোষণায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টুইট করেছেন, ‘কঙ্গনা রানাওয়াতের দুঃখ পাওয়ার দরকার নেই। আমরা আপনার সঙ্গেই আছি, যখনই এটি মুক্তি পাবে আমরা নিশ্চিতভাবে এটি দেখব এবং যাই হোক না কেন আপনাকে সমর্থন করব !!’

আরেকজন লিখেছেন, 'দিদি মন খারাপ করো না। মানুষের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই। যারা বিচার চায় তাদের পাশে সব সময় থাকে। কেউ আবার বলছেন, 'এই ছবি কঙ্গনা মুক্তি দাও, আমরা তোমার সঙ্গে আছি...'।

জরুরি মুক্তির বিলম্ব সম্পর্কে আরও 

ছবিটি বেশ কিছুদিন ধরেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে । এটি নিয়ে কয়েকটি শিখ গোষ্ঠী প্রতিবাদ জানান ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই। ফলে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) থেকে সবুজ সংকেত আটকে যায়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ২১ মাসের জরুরি অবস্থা জারি করা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর উপর ভিত্তি করে এই সিনেমা তৈরি করেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। 

এর আগে কঙ্গনা জানিয়েছিলেন যে, তাঁর রাজনৈতিক সিনেমাটি এখনও সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) থেকে শংসাপত্রের অপেক্ষায় রয়েছে। ইমার্জেন্সি সিবিএফসি-র ছাড়পত্র পেয়েছে বলে রটলেও কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, ছবির শংসাপত্র স্থগিত রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘গুজব ছড়িয়েছে যে আমার ছবি ইমার্জেন্সি সেন্সর বোর্ড কর্তৃক সার্টিফিকেট পেয়েছে। এটি সত্য নয়। আমাদের ছবিটি সিবিএফসি থেকে ছাড়পত্র পেলেও, সেন্সর বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে আসা অসংখ্য প্রাণনাশের হুমকির কারণে শংসাপত্রটি আটকে রাখা ছিল।

ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ড, পাঞ্জাব দাঙ্গার মতো কিছু দৃশ্য মুছে ফেলার জন্য আমাদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। এখন আর কী দেখাব বুঝতে পারছি না। আমরা কী করব - এই দৃশ্যগুলির সময় ফিল্মটি ব্ল্যাকআউট করা? এটি আমার কাছে অবিশ্বাস্য এবং এই দেশের বর্তমান চিন্তাভাবনার জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখিত।’