মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের নতুন নির্বাচিত এমপি কঙ্গনা রানাওয়াত সেই কেন্দ্রের বাসিন্দাদের জানিয়েছেন তবে সঙ্গে দেখা করতে হলে তাঁদের সঙ্গে করে আধার কার্ড নিয়ে আসতে হবে। আর এই বিষয়টা মোটেই ভালো ভাবে দেখেনি কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: করোনার ভ্রুকুটির জের! অনন্ত - রাধিকার বিয়েতে অংশ নিচ্ছেন না অক্ষয় কুমার
কী জানিয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত?
কঙ্গনা রানাওয়াত জানিয়েছেন যে মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের কেউ যদি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান তাহলে তাঁকে আধার কার্ড নিয়ে আসতে হবে পরিচয় প্রমাণ পত্র হিসেবে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন কী উদ্দেশ্যে বা কেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন সেই ব্যক্তি সেটাও জানাতে হবে একটা আবেদন পত্র মতো লিখে যাতে কোনও পক্ষের কোনও অসুবিধা না হয়।
কঙ্গনা জানিয়েছেন 'হিমাচল প্রদেশে বহু ট্যুরিস্ট আসেন। তাই মান্ডি এলাকাবাসীর কাছে আধার কার্ড থাকা জরুরি। এই কেন্দ্রে কোনও কাজ করানোর থাকলে সেটা কাগজে লিখিত দিতে হবে যাতে কোনও সমস্যায় না পড়তে হয়। এত ট্যুরিস্ট আসে যে সাধারণ মানুষকে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয়।' এছাড়া কঙ্গনা জানিয়েছেন হিমাচলের উত্তর অঞ্চলের কেউ যদি দেখা করতে চান তাঁর সঙ্গে তাহলে তাঁরা যেন তাঁর বাড়িতে আসেন মানালিতে আর নইলে মান্ডির অফিসে।
কঙ্গনার কথার উত্তরে কী বলছে কংগ্রেস?
কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য সিং এই বিষয়ে কঙ্গনাকে রীতিমত আক্রমণ শানিয়েছেন। বলেছেন তাঁর সঙ্গে কারও দেখা করতে গেলে কোনও আধার কার্ড লাগবে না। প্রসঙ্গত এই বিক্রমাদিত্যই এবার লোকসভা নির্বাচনে কঙ্গনার কাছে পরাজিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: অনন্ত - রাধিকার বিয়েতে রিলায়েন্স কর্মীদের বিশেষ উপহার আম্বানি পরিবারের! ডালিতে কী কী ছিল?
বিক্রমাদিত্য আরও জানিয়েছেন, 'আমরা জনগণের প্রতিনিধি। আমাদের কাজই হচ্ছে সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষের সঙ্গে দেখা করা, মেশা। সে বড় কাজ হোক বা ছোট বা ব্যক্তিগত কাজই হোক না কেন তার জন্য পরিচয় পত্র লাগে না। একজন মানুষ যদি জনগণের প্রতিনিধির কাছে আসেন তাহলে তাঁরা নিশ্চয় কোনও কাজের জন্যই আসছেন। কেউ দেখা করতে এলে তাঁকে কাগজ দেখাতে বলাটা ঠিক নয়।'
বিক্রমাদিত্যর সুরেই সুর মিলিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং এবং সেজ রাজ্যের কংগ্রেস প্রধান প্রতিভা সিং।