কঙ্গনা রানাওয়াতের অভিযোগ করণ জোহর সুশান্ত সিং রাজপুতকে ‘ফ্লপ স্টার’ এর তকমা দিয়েছিল এবং উনি নিজেই ঠিক করেছিলেন ড্রাইভের ভাগ্য। করণের জন্যই নাকি সুশান্ত সিং রাজপুতের ড্রাইভ থিয়েটারে মুক্তি পায়নি,বলেছেন এই ছবি কেউ কিনতে চায়নি। করণ জোহর নাকি নিজের ছোটোবেলার বন্ধু আদিত্য চোপড়ার অ্যাজেন্ডার পূরণ করতেই সুশান্তের কেরিয়ার বরবাদ করেছেন।
কঙ্গনার মতে, আদিত্য চোপড়ার যশ রাজ ফিল্মের ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা একটা ‘খারাপ’ চুক্তি স্বাক্ষর করিয়েছিল সুশান্তকে দিয়ে। আদিত্য চোপড়াই নাকি সুশান্ত সঞ্জয় লীলা বনশালির গোলিও কী রাসলীলা রামলীলা, বাজিরাও-মস্তানির মতো ছবির অংশ হতে পারেননি। এবং আদিত্য নিশ্চিত করেছিলেন ওই ছবিগুলো যেন রণবীর সিংয়ের ঝুলিতে যায়।
কেন এমনটা করেছেন আদিত্য চোপড়া? কঙ্গনার কথায়, সুশান্ত চামচাগিরি করা পছন্দ করত না সেই কারণেই ওর কেরিয়ার ধ্বংস করা হয়েছে। কঙ্গনা বলেন, যখন সুশান্ত সিং রাজপুত ও শেখর কাপুরের পানি ঘোষণার প্রায় তিন বছর পর বন্ধ করে দেয় যশ রাজ ফিল্মস,তখন যশ রাজ ফিল্মসের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন কয়ে দেয় সুশান্ত এবং আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হয়। তখনই নাকি আদিত্য চোপড়া হুমকির সুরে সুশান্তকে বলেছিল,'আমরা কখনও তোমার সঙ্গে কাজ করব না'।
এরপরে এমএস ধোন: দ্য আনটোল্ড স্টোরির মতো সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছিলেন সুশান্ত। তারপরেই নাকি করণ জোহর, যিনি আদতে আদিত্য চোপড়ার ‘জিগরি ইয়ার’ তিনি ময়দানে নামেই সুশান্তকে বরবাদ করতে। তাঁকে দিয়ে ড্রাইভ সাইন করান এবং নিশ্চিত করেন ড্রাইভ থিয়েটারে মুক্তি না পেয়ে তার পরিবর্তে ডিডিটাল প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায়। এই পুরোটাই নাকি চক্রান্ত। একটা ছবি নিয়ে তিন বছর ধরে গড়িমসি চলে, তারপর সুশান্তকে ‘ফ্লপ স্টার’ এর তকমা দেয় করণ জোহর,বলে এক্সিবিটাররা নাকি এই ছবি কিনতে ইচ্ছুক নন। এমএস ধোনি:দ্য আনটোল্ড স্টোরির পরেও সুশান্তের ছবি কেনার মতো এক্সিবিটার পেল না করণ জোহর? প্রশ্ন কঙ্গনার। তিনি যোগ করেন, এক্সিবিটার এবং প্রযোজকদের সঙ্গে কথা বলা হোক। আমিও জানতে চাই এই ব্যবসার জটিল অঙ্কটা।
কঙ্গনার আরও অভিযোগ বক্স অফিসের এই বিজনেস ব়্যাকেটের চালানা করেন করণ জোহর। যিনি ছিছোড়ে কিংবা মণিকর্নিকার মতো ছবিতে সেমি-হিট বলে ঘোষণা করেন। এরপর সুশান্তের কেরিয়ার নষ্ট হয়ে গেছে-এই কথা প্রচার করানো হয়। এইগুলো পাবলিক ডোমেনে আছে। যেখানে বলা হয়েছে সুশান্ত ফ্লপ অ্যাক্টর তাই করণ জোহর ড্রাইভ বিক্রি করতে পারেননি। ধর্মা প্রোডাকশন এবং যশ রাজ ফিল্মস-একসঙ্গে আঁতাত তৈরি করে ঠিক করে নেয় ইন্ডাস্ট্রিতে কাকে প্রমোট করতে হবে,কাকে নীচে নামিয়ে আনতে হবে এবং কার কেরিয়ার ধ্বংস করতে হবে-গোটাটাই চক্রান্ত, অভিযোগ কঙ্গনার।
১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ড্রাইভ ছিল অভিনেতার শেষ রিলিজ। ১ নভেম্বর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই ছবির মুক্তি নিয়ে করণ জোহরের সঙ্গে সুশান্তের মনোমালিন্যর খবর সামনে এসেছে বারবার। এমনকি এই ছবির প্রচার থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন ‘অভিমানী’ সুশান্ত। অন্যদিকে ২০১২-র নভেম্বরে যশ রাজ ফিল্মসের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন সুশান্ত। যা মাঝপথেই ভেঙে যায় ২০১৫ সালের শেষের দিকে। সুশান্তের আত্মহত্যার মামলায় শনিবারই যশ রাজ কর্ণধার আদিত্য চোপড়ার বয়ান রেকর্ড করেছে মুম্বই পুলিশ।