বলি হঠাৎ কঙ্গনার হল টা কী! নাহ, আমি বলছি না, কঙ্গনার বদলে যাওয়া হাবভাব, কথাবার্তা দেখে এমনটাই এখন ভাবছেন নেটপাড়ার বাসিন্দারা। যে কঙ্গনা নিজেকে 'গর্বিত হিন্দু' বলে দাবি করেন তিনিই এবার হিন্দুত্ববাদীদের একহাত নিলেন। ধর্ম, ঈশ্বর বিশ্বাস নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে ফেলা পরিচালক এস এস রাজামৌলির পাশে দাঁড়ালেন কঙ্গনা।
সম্প্রতি 'দ্যা নিউ ইয়র্ক'-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরিচালক এস এস রাজামৌলি হিন্দু ও হিন্দুধর্ম সম্পর্কে নিজের মতামত জানিয়েছেন। রাজামৌলির কথায়, তিনি একসময় ভীষণই ধার্মিক ছিল, এখনও তিনি একপ্রকার নাস্তিক। পরিচালক জানিয়েছেন, তিনি ছোট থেকেই রামায়ণ-মহাভারত পড়ে বড় হয়েছি। পৌরাণিক গল্প তাঁর ভালোলাগে। তাঁর পরিবারের সকলেই ভীষণ ধার্মিক, পরিবারের সকলের সঙ্গে তিনিও একসমনয় গেরুয়া বসন পরে বিভিন্ন ধর্মীয় কাজে অংশ নিয়েছেন। আবার পরবর্তী সময় কিছু বন্ধুদের জন্য খ্রিস্ট ধর্মকেও তিনি আঁকড়ে ধরেছিলেন। তবে এখন তাঁর কোথায় গিয়ে মনে হয় 'ধর্ম আসলে শোষণের একটা পন্থা মাত্র।'
রাজামৌলির এই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন পরিচালক। আর এক্ষেত্র পরিচালকের পাশে 'ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ'-এর মতোই দাঁড়িয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। কঙ্গনা টুইটারে লেখেন, ‘এত বাড়াবাড়ি করার দরকার নেই। সবসময় (গেরুয়া) পতাকা নিয়ে ঘোরার প্রয়োজন নেই। আমাদের কাজই আমাদের পরিচয়। আমি একজন গর্বিত হিন্দু হিসাবেই সমস্ত ধরনের ট্রোল, নেতিবাচক মন্তব্য আক্রমণের বিরোধিতা করছি। এত ট্রোলিং সত্ত্বেও আমরা কিন্তু সকলের জন্যই সিনেমা তৈরি করি। আমরা শিল্পীরা আসলে দুর্বল, তথাকথিত ডানপন্থীদের থেকেও আমরা বিশেষ সুবিধা পাই না। তাই চুপ করে বসে থাকুন। আমি রাজামৌলি স্যারের বিরুদ্ধে কিচ্ছু শুনতে চাই না। উনি আগুনের মধ্যে পড়া বৃষ্টিধারার মতো। উনি জাতীয়তাবাদী, প্রতিভাবান আবার আসল অর্থেই একজন যোগী। আমরা ওঁকে পেয়ে ধন্য।’
কঙ্গনার আচমকা এমন মন্তব্য অবাক নেটপাড়া। নেটপাড়ার একাংশের কথায়, যিনি কিনা 'ডানপন্থী হিন্দুত্ববাদী' বলেই নাকি অভিনেত্রী হিসাবে জাতীয় পুরস্কার জিতেছিলেন, সেই কঙ্গনার গলায় আজ এ কেমন সুর…!
শুধু অবশ্য রাজামৌলি নন, একসময় যে স্বরা ভাস্করের সঙ্গে তাঁর সাপে-নেউলে সম্পর্ক ছিল, সেই স্বরা ভাস্করকেও কঙ্গন ফাহাদ আহমেদের সঙ্গে বিয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী আলিয়ার ঝগড়াতেও কঙ্গনা নওয়াজের পাশে। তাই নেটপাড়ার বাসিন্দাদের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, 'ঝগড়ুটে কঙ্গনার হঠাৎ কী হল!'