ফের চর্চায় বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। নেটমাধ্যনে কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করে হামেশাই চর্চায় থাকেন তিনি। দিল্লি শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটি (DSGMC)-র প্রেসিডেন্ট মনজিন্দার সিং সির্সা ও শিখ সম্প্রদায়ের কয়েকজন সদস্য মিলে FIR দায়ের করেছিলেন অভিনেত্রীর নামে। ২১ নভেম্বর কঙ্গনা নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে একটি স্টোরি শেয়ার করেন। তার ভিত্তিতেই ছিল এই অভিযোগ।
মঙ্গলবার পাঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে মা আশা রানাওয়াত ও দিদি রঙ্গোলি চান্দেলের সঙ্গে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন কঙ্গনা। ছবিতে কঙ্গনাকে নীল রঙের সালোয়ার পরে দেখা যাচ্ছে। মাথায় তাঁর ওড়না দেওয়া। ছবির সঙ্গে দীর্ঘ পোস্টে ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন কঙ্গনা। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে নিশানা করেছেন তিনি। হুমকি দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং পাঞ্জাব সরকারকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে, দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার আবেদন করেছেন কঙ্গনা।
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার এই পোস্টে আমি প্রতিনিয়ত বিঘ্নকারী শক্তির কাছ থেকে হুমকি পাচ্ছি। বাথিন্ডার এক ভাই প্রকাশ্যে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এই ধরনের হুমকিতে আমি ভয় পাই না। যারা দেশ ও সন্ত্রাসী শক্তির হয়ে ষড়যন্ত্র করে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলি এবং সবসময় বলব।’ যদিও এখন অভিনেত্রী নিজেই এফআইআর দায়ের করেছেন কারণ তিনি মৃত্যুর হুমকি পাচ্ছেন, এমনটাই বলেছেন।
প্রসঙ্গত, এই বছর গুরু নানকের জন্মদিনে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ২১ নভেম্বর কঙ্গনা নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে একটি স্টোরি শেয়ার করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই, দিল্লি শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটি (DSGMC)-র প্রেসিডেন্ট মনজিন্দার সিং সির্সা ও শিখ সম্প্রদায়ের কয়েকজন সদস্য মিলে FIR দায়ের করেছিলেন অভিনেত্রীর নামে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরেই রুষ্ট হন অভিনেত্রী। আর তারপর সোজাসুজি আঘাত করেন কৃষক সম্প্রদায়কে। কৃষকদের প্রতিবাদকে ‘খলিস্তানি আন্দোলন’-এর আখ্যা দেন কঙ্গনা। প্রতিবাদী কৃষকদের ‘খলিস্তানি সন্ত্রাসবাদী’ বলেন তিনি।
২৯৫এ ধারায় কঙ্গনার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে ও তদন্ত চলছে। তবে, এসব নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন ‘কুইন’ অভিনেত্রী। বিজেপি ঘনিষ্ঠ কঙ্গনার মতে, তিনি অপ্রিয় সত্য বলেন! আর তাই সবাই তাঁর নামে অভিযোগ করে সত্যিটা চাপা দেওয়ার জন্য।