শুক্রবার কঙ্গনা রানাওয়াতের আসন্ন সিনেমা ‘ধাকড়’-এর ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। মুম্বইয়ে ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন বলি কুইন। সিনেমা এবং বিনোদন জগতের বিতর্ক নিয়ে, এ দিন একগুচ্ছ প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি, অভিনেতা অজয় দেবগণ কন্নড় অভিনেতা কিচ্চা সুদীপের হিন্দি এবং কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এবং ভাষা সম্পর্কে মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় টুইট করেছেন। দক্ষিণী তারকা কিচ্চা সুদীপ, ‘কেজিএফ ২’-এর ব্যাপক সাফল্যের পর সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘হিন্দি আর আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা নেই’। সুদীপের এই কথা হজম করতে পারেননি বলিউডের 'সিংহম'।
টুইটারের দেওয়ালে হিন্দিতে অজয় প্রশ্ন রাখেন, যদি হিন্দি সত্যি রাষ্ট্রীয় ভাষা না হয় তবে সুদীপ কেন নিজের ছবি হিন্দিতে ডাবিং করে রিলিজ করেন। অজয় লেখেন, ‘কিচ্চা সুদীপ ভাই, যদি তোমার মতানুসারে হিন্দি আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা না হয়, তাহলে তুমি কেন তোমার মাতৃভাষায় তৈরি ছবি হিন্দিতে ডাবিং করে রিলিজ করো? হিন্দি আমার মাতৃভাষা, এবং আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা এবং সেটা থাকবেই। জন গণ মণ’। আরও পড়ুন: Ajay Devgn-Kiccha Sudeep: ‘হিন্দিতে ছবি ডাবিং করো কেন?’ সুদীপকে তোপ অজয়ের, পাল্টা দিলেন দক্ষিণী হিরো
মহালক্ষ্মীতে ট্রেলার লঞ্চ ইভেন্টে, কঙ্গনার মুখেও অজয়ের মতোই একই বুলি। অভিনেত্রীর মন্তব্য, ভারতের সংবিধান হিন্দিকে 'রাষ্ট্রীয় ভাষা'র মর্যাদা দিয়েছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ইংরেজির তুলনায় ভারতীয় ভাষা নিয়ে গর্ব করার বিষয় তিনি বলেছেন, ‘আপনি যখন কোনও দেশের মধ্যে ভ্রমণ করেন, বা জার্মান, স্প্যানিশ বা ফ্রান্স দেশে-বিদেশে যান, তখন তারা তাদের ভাষা নিয়ে খুব গর্বিত হয়। ঔপনিবেশিক ইতিহাস যতই অন্ধকার হোক না কেন, ভাগ্যক্রমে বা দুর্ভাগ্যবশত, ইংরেজি সেই যোগসূত্রে পরিণত হয়েছে। আজ, এমনকি দেশের মধ্যে, আমরা যোগাযোগের জন্য ইংরেজি ব্যবহার করছি। এটা কি যোগাযোগের মাধ্যমে হওয়া উচিত, নাকি হিন্দি বা সংস্কৃত বা তামিল যোগাযোগের মাধ্যও হওয়া উচিত? আমাদের সেই ডাক নিতে হবে। তাই এসব বিষয় মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’ আরও পড়ুন: Dhaakad trailer: মারকাটারি অ্যাকশনে বলিউড হিরোদের টেক্কা দিলেন কঙ্গনা, রয়েছেন বাংলার শাশ্বত
বলি কুইন আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, সংবিধান অনুযায়ী হিন্দি জাতীয় ভাষা। তাই অজয় দেবগণ যখন বলেছিলেন, হিন্দি ভারতের রাষ্ট্রীয় ভাষা, তিনি কিছু ভুল বলেননি। কিন্তু আমি বলব সংস্কৃতকে আমাদের জাতীয় ভাষা হওয়া উচিত, কারণ হিন্দি, জার্মানি, ইংরেজি, ফরাসি সব ভাষাই সংস্কৃত থেকে এসেছে। কেন আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা সংস্কৃত নয়? কেন এটা স্কুলে বাধ্যতামূলক না? আমি এটা জানি না!’ ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা ব্যবহৃত দুটি সরকারী ভাষা রয়েছে, ইংরেজি এবং হিন্দি। বিভিন্ন রাজ্য সরকারী উদ্দেশ্যে তাদের নিজস্ব ভিন্ন ভাষা ব্যবহার করে থাকে।
অজয়ের টুইটের জবাবও দিয়েছেন সুদীপ। তিনি জানান, যে প্রেক্ষাপটে তিনি এই কথা বলেছেন তা একদম ভিন্ন। হয়ত অজয় দেবগণ তাঁকে ভুল বুঝেছেন। কেন ওই বক্তব্য রেখেছেন তিনি, তা সমানাসামনি দেখা হলে বিস্তারিত জানাবেন অজয়কে যোগ করেন অভিনেতা। কোনওরকম তর্ক করা বা বিতর্ককে উসকে দেওয়ার কোনও ইচ্ছা তাঁর নেই, জানান কিচ্চা সুদীপ।
একাধিক সেলিব্রিটি এবং রাজনীতিবিদরাও এই বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন।