প্রয়াতা মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার বায়োপিক 'থালাইভি'-র কাজ শেষ করার পর এবার ইন্দিরা গান্ধী 'সেজে' ওঠার লক্ষ্যে পা বাড়ালেন কঙ্গনা রানাওয়াত। ছবির নাম 'এমার্জেন্সি'।তবে পর্দায় শুধু প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী সেজে উঠেই কিন্তু ক্ষান্ত হচ্ছেন না কঙ্গনা। পাশাপাশি এই ছবির পরিচালকের আসনেও বসবেন তিনি। 'মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অফ ঝাঁসি'-র পর ফের একবার পরিচালকের মেজাজে ধরা দিতে চলেছেন বলিউডের 'কন্ট্রোভার্সি কুইন'।
নেটমাধ্যমে নিজেই একথা লিখে জানিয়েছেন কঙ্গনা। সেখান থেকেই জানা গেল গত বছর দেড়েক ধরে 'এমার্জেন্সি' নিয়ে দিনরাত চর্চা ও খাটাখাটুনির পর তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস এই ছবির পরিচালকের দায়িত্ব তাঁর থেকে বেশি ভালো কেউ সামলাতে পারবেন না। তিনি যে এই ছবির বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী জানালেন সেকথাও। আরও বললেন, বহু ছবির লোভনীয় অফার তিনি ছেড়েছেন স্রেফ 'এমার্জেন্সি'-র সঙ্গে জড়িত থাকবেন বলে। ছবির গল্প লিখেছেন রিতেশ শাহ। তবে এই ছবিকে ইন্দিরা গান্ধীর বায়োপিক বলতে আপত্তি রয়েছে কঙ্গনার। তাঁর ভাষায় এটি ' বিরাট মাপের পিরিয়ড সিনেমা। পলিটিক্যাল ড্রামাও বলা যেতে পারে।' এই সিনেমা তৈরির মূল উদ্দেশ্য যাতে বর্তমান ও নয়া প্রজন্মের দর্শক ভারতের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপারে একটা স্পষ্ট ধারণা তৈরি করতে পারে।
এ ছবির প্রসঙ্গে পিঙ্কভিলা-কে কঙ্গনা জানিয়েছেন যে প্রথমদিকে 'এমার্জেন্সি' নয়, বরং অন্য একটি ছবি তিনি বাছাই করে রেখেছিলেন পরিচালনা করবেন বলে। তবে ইন্দিরা গান্ধীর বিষয়ে চর্চা শুরু করার পর অভিনেত্রীর মনে হয়েছিল প্রয়াত এই বিখ্যাত প্রধানমন্ত্রীর জীবনের গল্পের সেসব দিক তিনি পর্দায় তুলে ধরতে চান যার বিষয়ে খুব কম মানুষই জানেন। কারণ সেভাবে ইন্দিরা গান্ধীর জীবন নিয়ে কোনও ছবি পর্দায় আজ পর্যন্ত তৈরি হয়নি। তবে জানিয়ে রাখা ভালো এই ছবি আদতে পরিচালনা করার কথা ছিল সাই কবীরের। এই পলিটিক্যাল ড্রামা ঘোষণার সময়ে নিজমুখে কঙ্গনা সেকথা জানিয়েওছিলেন। তবে বর্তমানে জানা গেছে একটি ওয়েব প্ল্যাটফর্মের জন্য 'টিকু ওয়েডস শেরু' নামের একটি ছবি তৈরির কাজে ব্যস্ত সাই। তাই এই বায়োপিকের পরিচালনার দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন অভিনেত্রী।