সোমবার মুম্বইয়ের এক মেট্রোপলিটন আদালত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দিলেন। গীতিকার,লেখক জাভেদ আখতারের মানহানির মামলায় সমন জারির নির্দেশ দিল আদালত। এক সাক্ষাত্কারে ইচ্ছাকৃতভাবে বর্ষীয়ান গীতিকারের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা, অভিযোগ আনেন শিল্পী।
এক সর্বভারতীয় নিউজ চ্যানেলের মঞ্চে জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্যের জন্য গত বছর নভেম্বর মাসে কঙ্গনার বিরুদ্ধে অন্ধেরির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানহানির মামলা দায়ের হয়েছিল। অন্যদিকে গত ৩রা ডিসেম্বর এই মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দি দেন জাভেদ আখতার। এরপর আদালতের তরফে জুহু পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দিতে। সোমবার আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় মুম্বই পুলিশ। সেই ভিত্তিতেই কঙ্গনার বিরুদ্ধে সমন জারি করল আদালত। আগামী ১লা মার্চ পুলিশের সামনে হাজিরা দিতে হবে অভিনেত্রীকে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামাসয় কোনওরকম কারণ ছাড়াই অভিযোগকারীর (জাভেদ আখতার) নাম জড়িয়েছেন কঙ্গনা বলা হয়েছে অভিযোগের প্রতিলিপিতে। জাভেদ আখতার বলেন সোশ্যাল মিডিয়াতেও কয়েক লক্ষ মানুষ ওই ভিডিয়ো দেখেছেন এবং অনান্য সংবাদ মাধ্যমও ওই ভিডিয়োর বক্তব্য নিয়ে খবর করেছে যা তাঁর জন্য অপমানজনক এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে তা মানহানিকর।
নিজের আইনজীবী নীরঞ্জন মুন্দারগির মারফত কঙ্গনার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ নম্বর (মানহানি) ও ৫০০ নম্বর (মানহানির শাস্তি) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
বলিউডের অন্যতম ঠোঁটকাটা ব্যক্তিত্ব হিসাবেই বিখ্যাত কঙ্গনা রানাওয়াত। রিপাবলিক টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে জুলাই মাসে গীতিকার,লেখক জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন কঙ্গনা। হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে কঙ্গনা রানাওয়াতের ঝামেলার খবর বলিউডে কারুর অজানা নয়। সেই বিবাদের সময় নাকি নিজেদের দীর্ঘদিনের বন্ধু রোশন পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে কঙ্গনাকে রীতিমতো ‘শাসিয়েছিলেন’ জাভেদ আখতার। তিনি পরিষ্কার ভাষায় কঙ্গনাকে বলেছিলেন হৃত্বিকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে, না হলে কঙ্গনার কাছে আত্মহত্যা করা ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা খোলা থাকবে না।