দু-দিন আগেই টুইট বার্তায় কঙ্গনা বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে নাকি ৭০০টি এফআইআর দায়ের রয়েছে দেশের নানান প্রান্তে। গতকাল, সোমবার কঙ্গনার বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। জাভেদ আখতারের দায়ের মানহানির মামলায় কঙ্গনাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে আন্ধেরির এক আদালত। এবার জানা গেল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নায়িকা। তাঁর আবেদন, মুম্বই যেতে আগ্রহী নন তিনি, মহারাষ্ট্র সরকারের হাতেই তাঁর জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন তিনি, তাঁর সম্পত্তিও ধ্বংস করা হয়েছে। সেই কারণেই শীর্ষ আদালতের কাছে কঙ্গনার আবেদন, যাতে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের ফৌজদারী মামালাগুলি সিমলার আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়। এবং সেখানে আইনিভাবে বিচারপ্রক্রিয়া চালানো হোক।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কঙ্গনা ও তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেল কর্তৃক সর্বোচ্চ আদালতে এই আবেদন দায়ের করা হয়েছে। এখনও এই আবেদন শুনানির দিন ধার্য হয়নি। টুইটারের মাধ্যমে ধর্মীয় উস্কানিমূলক বিবৃতি দেওয়ার জেরে এবং ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার জন্য রানাওয়াত সিস্টার্সদের বিরুদ্ধে গত বছর অম্বোলি ও বান্দ্রা থানায় দুটি পৃথক এফআইআর দায়ের হয়। একই অভিযোগে আরও একটি মামলা ৬৬ নম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ঝুলে রয়েছে কঙ্গনা ও রঙ্গোলির বিরুদ্ধে। এই মামলার পাশাপাশি জাভেদ আখাতের তরফে দায়ের মানহানির মামলাটিও সিমলায় ট্রান্সফার করবার আবেদন রেখেছেন কঙ্গনা।
আপতত কেন্দ্রের তরফে ওয়াই প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে হিমাচলের এই কন্যাকে। গত বছর মুম্বইয়ের সঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের তুলনা টানবার পর মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল শিবসেনার নেতারা প্রকাশ্যে হুমকি দেন কঙ্গনাকে। এরপর হিমাচল প্রদেশ সরকারের তরফে কঙ্গনাকে নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদন রাখা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে।
আবেদনের কপিতে উল্লেখ রয়েছে, ‘এটা স্পষ্ট যে আবেদনকারী জীবন সেখানে বিপন্ন, ওঁনার সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যদি এই মামলাগুলি মুম্বইয়ের বাইরে না নিয়ে আসা হয়, তাহলে আবেদনকারীর জীবন সংশয় হতে পারে’। নিজের আইনজীবী নীরজ শেখরের মাধ্যমে এই আবেদন জানিয়েছেন কঙ্গনা।