বছরদেড়েক আগে টুইটার থেকে ‘বিতাড়িত’ হয়েছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত, বিতর্কিত পোস্ট করার কারণে। এবার ফিরলেন বুধবারে। আর ফিরেই যাকে বলে ধুমধামার। এসেই বলিউডকে ঠুকলেন ‘অনুভূতিশূন্য’ বলে, কারণ এখানে কোন শিল্পের সাফল্য মাপা হয় বক্স অফিসের রিপোর্ট দিয়ে। বলে রাখা ভালো, কঙ্গনার মন্তব্য এল শাহরুখ খানের পাঠান মুক্তি পাওয়ার দিনে।
কঙ্গনা বুধবার টুইটারে লিখলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্প এতটাই জঘন্য এবং অশোধিত যে যখনই তারা কোনও প্রচেষ্টা/সৃষ্টি/শিল্পের সাফল্যকে তুলে ধরতে চায় তখনই তারা আপনার মুখে মুদ্রার অঙ্কগুলি ছুঁড়ে দেয়, যেন শিল্পের অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই … এগুলিই দেখায় তাঁরা কতটা নিম্নমানের জীবনযাপন করে।’
তাঁর আরও মত, সিনেমা কখনওই ‘বড় অর্থনৈতিক লাভের জন্য তৈরি হয় না। আর এই কারণে সিনেমার তারকাদের পূজা করা হয়। লিখলেন, ‘আগে শিল্পের জায়গা ছিল মন্দিরে, সাহিত্যে। পরে তা সিনেমা হলের মধ্যে আসে। এটা একটা ইন্ডাস্ট্রি, কিন্তু বিলিয়ানিয়র বা ট্রিলিয়ানিয়র হওয়ার জায়গা নয়। বড় বড় আর্থিক লাভের জন্য সিনেমা অন্তত তৈরি করা হয় না। তাই অভিনেতাদের পুজো করা হয়।’ সবশেষে লেখেন, ‘সুতরাং শিল্পীরা যদি দেশের শিল্প ও সংস্কৃতিকে দূষিত করে তবে তাদের অবশ্যই নির্লজ্জভাবে নয় বিচক্ষণতার সঙ্গে করতে হবে...’

কঙ্গনা রানাওয়াতের টুইট।
বলে রাখা ভালো, ২০১৯ সালের পর আর বক্স অফিসে সাফল্যর মুখ দেখেননি কঙ্গনা। তাঁর ছবি মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অফ ঝাঁসি ঘরে তুলেছিল ৯২ কোটি। তারপর থেকে পাঙ্গা, থালাইভিই এবং ধকড়ের মতো ছবি সুপারফ্লপ। সদ্য এমার্জেন্সি ছবির কাজ শেষ করেছেন। যাতে কঙ্গনা অভিনয় করেছেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির চরিত্রে।
শ্যুট শেষের খবর দিয়ে নিজেই সেইসময় ইনস্টাস্টোরিতে লিখেছিলেন, ছবি তৈরি করতে গিয়ে বন্ধক রাখতে হয়েছে তাঁর নামে থাকা সমস্ত সম্পত্তি। এই ছবিও ফ্লপ করলে কঙ্গনার কপালে ‘শনি নাচছে’।