ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা নিয়েই শুক্রবার বান্দ্রা থানায় হাজির হলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত, পৌঁছেছেন তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেলও। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাঝেই এদিন স্বমেজাজে বান্দ্রা থানায় ঢুকতে দেখা গেল কঙ্গনাকে। দেশদ্রোহীতার অভিযোগ রয়েছে কঙ্গনা-রঙ্গোলির বিরুদ্ধে, সেই মামলাতেই এদিন বয়ান রেকর্ড করবেন দুজনে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা ও রঙ্গোলি , এই অভিযোগে বান্দ্রা আদালতের নির্দেশে মুম্বই পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছিল অক্টোবর মাসে। এই এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে নভেম্বরে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কঙ্গনা ও রঙ্গোলি।
এফআইআরে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪-এ (রাষ্ট্রদ্রোহ), ১৫৩-এ (ধর্ম, বর্ণের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর ঘৃণা ছড়ানো), ২৯৫-এ (ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিতে ইচ্ছাকৃত কাজ) এবং ৩৪ ধারা (একই অভিপ্রায়) অনুযায়ী মামলা দায়ের করে মুম্বই পুলিশ। কঙ্গনা ও রঙ্গোলির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মধ্যে গুরুতর অভিযোগ আনার বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছিল হাইকোর্ট। বম্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বিস্ময়ের সুরে সরকারি আইনজীবীকে প্রশ্ন করে, ‘কেউ যদি সরকারের সুরে সুর না মেলান তাহলেই কি সেটা রাষ্ট্রদ্রোহ বলে বিবেচিত হবে’?
রীতিমতো ভর্ত্সনার সুরে সরকারপক্ষের আইনজীবী দীপক ঠাকরকে বেঞ্চ বলেছিল- 'কোন মামলায় কোন ধারা দিতে হয় তা শেখবার জন্য পুলিশকর্মীদের জন্য ওয়ার্কশপের আয়োজন করা উচিত’। তবে পুলিশের জারি করা সমনের সম্মান জানাতে কঙ্গনা ও রঙ্গোলিকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কবে পুলিশের সামনে হাজিরা দিতে পারবেন তাঁরা, জানতে চেয়েছিল আদালত, সেইমতো ৮ জানুয়ারির কথা জানিয়েছিল কঙ্গনার আইনজীবী। নির্দিষ্ট দিনেই মুম্বই পুলি্শের মুখোমুখি কঙ্গনা।
এদিন সাদা শিফন শাড়ি আর স্লিভলেস ব্লাউজে বান্দ্রা থানায় পৌঁছান কঙ্গনা। চোখে ঝলমল করল রোদচশমা। সংবাদিকদের উদ্দেশ্য হাত নেড়ে অভিবাদনও জানান অভিনেত্রী।