বলিউডের অন্যতম ঠোঁটকাটা ব্যক্তিত্ব হিসাবেই বিখ্যাত কঙ্গনা রানাওয়াত। রিপাবলিক টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে গীতিকার,লেখক জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে ফের একবার বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন কঙ্গনা। হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে কঙ্গনা রানাওয়াতের ঝামেলার খবর বলিউডে কারুর অজানা নয়। সেই বিবাদের সময় নাকি নিজেদের দীর্ঘদিনের বন্ধু রোশন পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে কঙ্গনাকে রীতিমতো ‘শাসিয়েছিলেন’ জাভেদ আখতার। তিনি পরিষ্কার ভাষায় কঙ্গনাকে বলেছিলেন হৃত্বিকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে, না হলে কঙ্গনার কাছে আত্মহত্যা করা ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা খোলা থাকবে না।
জাভেদ আখতার একথাও বলেছিলেন, রোশন পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা বাড়ালে বলিউডে তাঁর কোনও জায়গা থাকবে না, কঙ্গনার সব সম্মান ধূলোয় মিশে যাবে। রোশনরা ক্ষমতাশালী তাঁরা চাইলে কঙ্গনার কেরিয়ার শেষ হয়ে যাবে, মণিকর্নিকা:দ্য কুইন অফ ঝাঁসি তারকাকে এইভাবেই নাকি দিনের পর দিন হুমকি দিয়েছিলেন জাভেদ আখতার।
সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই কঙ্গনা রানাওয়াত এটাকে নিছক আত্মহত্যা বলে মেনে নিতে রাজি নন,তিনি বলেছেন 'মুভি মাফিয়াদের হাতে মার্ডার' হয়েছেন সুশান্ত। তাঁকেও এইরকম পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে। সুশান্তের মৃত্যুর পর গত মাসেই এক বিবৃতিতে কঙ্গনা একই অভিযোগ এনেছিলেন জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, এক সময় জাভেদ আখতার তাঁর বাড়িতে আমায় ডাকেন। তিনি বলেন রাকেশ রোশন আর তাঁর পরিবার খুবই ক্ষমতাশালী। তোমার উচিত অবিলম্বে ওঁদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। ক্ষমা না চাইলে আমার কোথাও যাওয়ার নেই। আমাকে জেলে যেতে হবে। আমি ধ্বংস হয়ে যাব। আত্মহত্যা ছাড়া আমার আর কোনও পথ খোলা থাকবে না'।
জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিস্ফোরক টুইট করেছিলেন কঙ্গনার দিদি রঙ্গোলি চান্দেল।
জানিয়ে রাখি,কঙ্গনা-হৃত্বিকের বিবাদ তো নতুন কোনও ঘটনা নয়। কঙ্গনা এর আগে দাবি করেছিলেন হৃত্বিকের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক ছিল তাঁর। এই ব্যাপারে বেশ কিছু ই-মেলও ফাঁস করেন তিনি। যদিও গোটা ঘটনাই সাজানো বলে দাবি করেন হৃত্বিক এবং আইনি নোটিশ পাঠান কঙ্গনাকে। পাল্টা আইনি জবাব দেন কঙ্গনাও। তবে উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকায় মুম্বই পুলিশ সেই মামলা বন্ধ করে দেয়। কাইট ছবির সেটে প্রথম পরিচয় হৃত্বিক কঙ্গনার। তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছেন কৃষ থ্রি-তেও।