এবার ধর্ষণের অভিযোগ কঙ্গনা রানাওয়াতের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে। শুধু ধর্ষণ নয়, জালিয়াতি এবং আনন্যাচর়্যাল সেক্সের অভিযোগ রয়েছে কুমার হেড়গে নামের ওই বডিগার্ডের বিরুদ্ধে। কুমারে বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন অন্ধেরির এক বিউটিশিয়ান। নির্যাতিতার অভিযোগ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন অভিযুক্ত। এই সম্পর্কে ইতিমধ্যেই ডিএন নগর পুলিশ থানায় মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। কুমার হেগড়ে নির্যাতিতার কাছ থেকে, পঞ্চাশ হাজার টাকাও নিয়েছে বলে এফআইআরের কপিতে উল্লেখ রয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৯ মে কুমার হেগড়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে মুম্বই পুলিশ। পেপিংমুন ডট কমের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, আট বছরের পরিচয় কুমার ও নির্যাতিতার। গত বছর জুন মাসে মহিলার কাছে বিয়ের প্রস্তাব রেখেছিলেন অভিযুক্ত বডিগার্ড। এরপরই একাধিকবার নির্যাতিতার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে সে। গত ২৭শে এপ্রিল নির্যাতিতার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে কর্নাটকে চলে যায় অভিযুক্ত। এর থেকেই কুমারের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করতে পারছিল না ওই নির্যাতিতা। গত ১১ মে কুমারের এক বন্ধু ওই বিউটিশিয়ানকে ফোনে জানায়, কুমার তার সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখে চায় না। এরপর নির্যাতিতার কাছে আরও একটি ফোন আসে। এক মহিলা নিজেকে কুমারে মা বলে দাবি করে জানায়, পরিবারের ইচ্ছায় অপর একজনকে বিয়ে করছে কুমার। নির্যাতিতাকে ছেলের থেকে দূরে থাকবার পরামর্শ দেন কুমারের মা।
এরপর নির্যাতিতা জানতে পারে আগামী ৫ই জুন কুমার হেগড়ের বিয়ের তারিখ পাকা রয়েছে, লিভ ইন পার্টনারের এ হেন ধোঁকা বরদাস্ত করতে না পেরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে সে।
একাধিকবার কঙ্গনা রানাওয়াতের সঙ্গে ফ্রেমবন্দি হয়েছে কুমার, এমনকি এই অভিযুক্তের জন্মদিন পর্যন্ত সেলিব্রেট করতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। কুমার হেগড়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৩৭৭ এবং ৪২০ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।