সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের জেরে দিন কয়েক ধরেই উত্তাল দেশ। সিএএ-র প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন ফারহান আখতার, স্বরা ভাস্কর, সুশান্ত সিংয়ের মতো অভিনেতারা। ছাত্রসমাজের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগের সমালোচনা করেছেন ভিকি কৌশল, আয়ুষ্মান খুরানারাও। এবার সিএএ ইস্যুতে মুখ খুলে সমালোচনার শিকার অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।
এমনিতেই বলিপাড়ার এই ঠোঁটকাটা অভিনেত্রী মোদি সরকারের বরাবরের প্রশংস।সোমবার নিজের আসন্ন ছবি পাঙ্গার ট্রেলার লঞ্চে সিএএ নিয়ে মন্তব্য করলেন কঙ্গনা। এদিন কঙ্গনা জানান, ‘প্রথমেই যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হল হিংসার আশ্রয় না নেওয়া। আমাদের দেশে কেবলমাত্র তিন থেকে চার শতাংশ মানুষ কর দেয়। বাকিরা তাদের উপর নির্ভরশীল। কে আপনাদের অধিকার দিয়েছে বাস, ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়ার, দেশে ভাঙচুর চালানোর। কঙ্গনা আরও যোগ করেন, একটি বাসের অনেক দাম, প্রায় ৭০-৮০ লক্ষ টাকা, এত টাকা নষ্ট করার অধিকার কেউ কোথা থেকে পাচ্ছে? এখনও দেশের অনেক মানুষ না খেতে পেয়ে অপুষ্টিতে মারা যায়, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত!
কঙ্গনার এই টুইট সমালোচনার ঝড় তোলে নেটদুনিয়ায়। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এদিন রীতিমতো অর্থনীতির ক্লাস নিলেন কঙ্গনার। আপ নেতা টুইটারে জানান, 'দেশের খেটে খাওয়া মজুরও পরোক্ষ কর দেয় সরকারকে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা যে কোনও পরিপ্রেক্ষিতেই নিন্দনীয়।সেটা মানবতা এবং আইন দুইয়ের চোখেই অপরাধ। কিন্তু এই দেশ শুধু তিন শতাংশ মানুষের করের উপর নির্ভরশীল নয়। একজন মজুর থেকে কোটিপতি-প্রত্যেক ভারতীয় কর দেয়'।
অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত আয়ের দেশের সাধারণ মানুষের যোগদান রয়েছে কঙ্গনাকে মনে করিয়ে দেন সিসোধিয়া। টুইট বার্তায় সিসোদিয়ার দাবি, 'একজন খেটেখাওয়া মানুষও যখন সিনেমা দেখতে যায় যে তারকাদের কফির টাকা জোগায়, বিনোদন কর দেয়। এবার ভেবে দেখো কে কার উপর নির্ভরশীল'?
সিসোধিয়ার এই মন্তব্যের পর কঙ্গনার তরফে সাফাই দিলেন তাঁর বোন তথা ম্যানেজার রঙ্গোলি চান্দেল। কঙ্গনাকে সমর্থন করে রঙ্গোলির দাবি মণীশ সিসোধিয়া তিলকে তাল করার চেষ্টা করছেন।
রঙ্গোলি টুইট করেন, 'স্যার কঙ্গনা শুধু মাত্র আয়করের কথা বলছিল, দয়া করে ওর বক্তব্যের অন্য মানে করে সেটা তুলে ধরবেন না। এবং কোনওভাবেই সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা অনুচিত'।