কঙ্গনা রানাওয়াতের ছবি ‘ইমার্জেন্সি’ শুরু থেকেই নানা সমস্যার মুখে পড়েছে। ছবিটি ২০২৪ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেন্সর বোর্ডের কারণে ছবির মুক্তি স্থগিত হয়ে যায়। তা ছাড়াও, প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির আগে কিছু সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করা নিয়ে ছবিটিকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তবে এত বাধা পেরিয়ে এবার অবশেষে ১৭ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে কঙ্গনার ছবি। কিন্তু বিতর্ক এখনও অব্যহত। কারণ এবার কঙ্গনার 'ইমার্জেন্সি' বাংলাদেশে ব্যান করা হল। কিন্তু কেন জানেন?
ইন্দিরা গান্ধীর সময় ভারতের ১৯৭৫ সালে জরুরী অবস্থা তৈরি হয়েছিল। যা রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল করে তুলেছিল ভারতকে। ছবিটিতে ভারতের রাজনীতি ও সমাজনীতির একটা অন্ধকার দিক ফুটে উঠেছে। তাছাড়া ছবিতে দেখানো হয়েছে ইন্দিরা গান্ধী কীভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধতে সাহায্য করেছিল।
সেই সময় পাকিস্তান-বাংলাদেশের যুদ্ধে যাতে ভারত না জড়িয়ে পড়ে তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ক্রমাগত চাপ আসছিল, কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে লক্ষ লক্ষ শরণার্থীকে ভারতে জায়গা দেওয়ার থেকে অর্থনৈতিক স্তরে ভারতের পক্ষে সরাসরি পাকিস্তানের মোকাবিলা করা ভালো হবে।
কিন্তু বর্তমানে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তাল বাংলাদেশ, এখনও যে অবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে তা বলা যায় না। তাছাড়া ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনাও দেখা দিয়েছিল। তাই সব মিলিয়ে বাংলাদেশে ছবিটির মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। তবে অনেকের মতেই এর ফলে ছবির বেশ কিছুটা ক্ষতি হবে। কারণে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার, কিন্তু সেখানেই প্রবেশ করতে পারছে না এই ছবি। ফলে ছবির আয়ের উপর যে এর বড় প্রভাব একটা পড়বে তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন: হিট সিনেমা 'কাহো না পেয়ার হ্যায়’ থেকে শেষ মুহূর্তে বাদ! করিনাকে সরানো নিয়ে মুখ খুললেন আমিশা
আজ তকের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বিষয়টির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র শেয়ার করেছে যে, ‘বাংলাদেশে ‘ইমার্জেন্সি’ ব্যান করার সিদ্ধান্ত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের সঙ্গেও জড়িত। তাই ছবিটি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি কর হয়েছে। অনেকের মতে ‘ইমার্জেন্সি’র অনেক বিষয়বস্তু দুই দেশের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক সমস্যার নানা দিককে প্রভাবিত করবে।’
আরও পড়ুন: পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলস! ঘরছাড়া মানুষজন, মৃত্যুপুরীতে কেমন আছেন প্রীতি জিন্টা?
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করির জন্য নাগপুরে ছবিটির একটি বিশেষ স্ক্রিনিং অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ছবিটি দেখে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি প্রথমবার ছবিটি দেখছি। আমি দেশে জরুরি অবস্থার সাক্ষী হয়েছি। কঙ্গনা জি আজ জনসাধারণের সামনে সেই জরুরি অবস্থার প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরেছেন। আমি মনে করি যে এই ছবিটি অবশ্যই দর্শকদের খুব ভালো লাগবে।’