কঙ্গনা রানাওয়াত বনাম মহারাষ্ট্র সরকারের জল্পনায় নতুন টুইস্ট । এবার প্রকাশ্যে কংগ্রেসের থেকে নিজের সমর্থন তুলে নিলেন কঙ্গনার মা আশা দেবী। আশা রানাওয়াত বৃহস্পতিবার জানান তাঁরা বংশ পরম্পরায় কংগ্রেসের সমর্থক, তবে আর নয় । এবার থেকে মোদীজিকেই সমর্থন করবেন তিনি। কঙ্গনা মুম্বইয়ের মাটিতে পা রাখার পূর্বেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে তাঁর মেয়ের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়ায় আপ্লুুত আশা দেবী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন ।
আশা দেবী সংবাদ মাধ্যমকে জানান , ‘ আমার মেয়ের সাথে গোটা দেশের মানুষের আশীর্বাদ রয়েছে । আমাদের পরিবারের কেউ বিজেপির সাথে কোনোদিনই যুক্ত নন । আমার শ্বশুর চিরকাল কংগ্রেস করতেন । আমরা বরাবরের কংগ্রেস সমর্থক । আমার মেয়ে সেই সত্য , আদর্শকে পাথেয় করে বরাবরই সততার পথে লড়াই করে গিয়েছে । নানা বাধার সম্মুখীন হলেও কখনও পিছিয়ে যায়নি’। সেই লড়াইকে সন্মান দিয়েই তাঁরা কংগ্রেসি পরিবার জেনেও কেন্দ্রীয় সরকার কঙ্গনার ওয়াই প্লাস নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন, জানান কঙ্গনার মা।
উল্লেখ্য মহারাষ্ট্রে এই মুহূর্তে মহা বিকাশ আগাড়ি জোট ক্ষমতায় রয়েছে। শিবসেনা, এনসিপি সহ এই জোটের অপর দল কংগ্রেস।
অমিত শাহ ছাড়াও এদিন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও অশেষ ধন্যবাদ জানান অভিনেত্রীর গর্ভধারিনী । তাঁর মতে মুম্বইতে কঙ্গনার নিরাপত্তার অভাব কতটা ছিল , তা সকলেই দেখেছেন । কিন্তু সেখানে নিজের দায়িত্বে মেয়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় প্রধান মন্ত্রীকে নিজের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আশা দেবী । এর পরেই নিজেকে মোদীজির আদর্শে অনুপ্রাণিত দাবি করে তাঁর চলার পথের শরিক হিসেবে ঘোষণা করেন তিনি ।
সম্পূর্ণ কথোপকথনের ভিডিওটি নিজের টুইটারে শেয়ার করেছেন বলি সুন্দরী । নিজের পোস্টে লেখেন , মায়ের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তে তিনি বিস্মিত এবং খুশি । বিএমসির তরফ থেকে যখন তাঁর অফিস ভাঙা হচ্ছিল তখন মায়ের সাবধান বাণীই তাঁর কানে প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল বলে জানান কঙ্গনা। ভীত কণ্ঠে মা আগেই বলেছিলেন 'আমি আগেই বলেছিলাম এমন হতে পারে', যোগ করেন কঙ্গনা কঙ্গনা।
দেশের প্রথম অভিনেত্রী হিসাবে ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেয়েছেন কঙ্গনা। অভিনেতা সুশান্ত সিংয়ের মৃত্যুর পর থেকেই বলিউড এবং স্বজন পোষণ নিয়ে টুইটারে ধারাবাহিক ভাবে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন কঙ্গনা। মুম্বই পুলিশের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করায় শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত তাঁকে মহারাষ্ট্রে পা রাখার পরামর্শ দেন। এরপরই কঙ্গনা মুম্বইয়ের সঙ্গে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের তুলনা টানলে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল শিবসেনার সঙ্গে কঙ্গনার বিরোধ চরমে পৌঁছায়।
বুধবার কঙ্গনার শহরে পা রাখবার কয়েকঘন্টা আগেই বিএমসি চব্বিশ ঘন্টার নোটিশে ভেঙে চুরমার করে দেয় কঙ্গনার কোটি কোটি টাকার অফিস বাড়ি। এই ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের মৃত্যু’ বলে উল্লেখ করে সরাসরি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে আক্রমণ করেন কঙ্গনা।