বৃহস্পতিবার শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতকে বিএমসি দ্বারা কঙ্গনার বাড়ি ভাঙার মামলায় জবাব দিতে নির্দেশ দিল। বিচারপতি এস জে কাথাওয়ালা এবং বিচারপতি আর আই চাগলার ডিভিশন বেঞ্চ এদিন বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশনের এইচ ওয়ার্ডের অফিসার ভাগ্যওয়ান্ত লাটের কাছেও জবাব চেয়েছে। লাটে সেই আধিকারিক যিনি ৭ সেপ্টেম্বর কঙ্গনার পালি হিলসের অফিস বাড়ি ভাঙার নোটিশে স্বাক্ষর করেছিলেন।
মঙ্গলবার কঙ্গনার কৌঁসুলি বীরেন্দ্র শারাফ বম্বে হাইকোর্টে একটি ডিভিডি জমা দেন, যেখানে সঞ্জয় রাউতের একটি বক্তব্য আছে- যেখানে রাউত প্রকাশ্যে কঙ্গনাকে হুমকি দিয়েছেন। এরপরেই কঙ্গনার দাবি মেনে এই মামলায় বিএমসির পাশাপাশি সঞ্জয় রাউত ও ভাগ্যওয়ান্ত লাটেকেও দুটি পৃথক পক্ষ হিসাবে গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট।
আজ, বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি স্থগিত করে দেওয়া হয় আগামিকাল পর্যন্ত। শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত এই মুহূর্তে সংসদের বাদল অধিবেশনের জন্য নয়া দিল্লিতে থাকায় তাঁর আইনজীবী প্রদীপ থোরাট আদালতের কাছে জবাব দেওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় প্রার্থনা করেন।
বিএমসির সিনিয়র আইনজীবী অনিল সাকরেও লাটের তরফে জবাব দেওয়ার জন্য সময় প্রার্থনা করেন। জাস্টিট কাথাওয়ালা জানিয়েছেন শুক্রবার আবার এই মামলার শুনানি শুরু হবে, তার আগে যে কোনও সময়ে সঞ্জয় রাউত জবাব দিয়ে নিজের পক্ষ আদালতের সামনে তুলে ধরতে পারেন।
অন্যদিকে বিএমসিকে লাটের তরফে জবাব দেওয়ার জন্য সোমবার পর্যন্ত সময় দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে আদালত স্পষ্টতই জানিয়ে দেয় ‘ভাঙা সম্পত্তি ওইভাবে ফেলে রাখা যাবে না’।
ডিভিশন বেঞ্চ জানায়- ‘বিল্ডিংটার বেশ খানিকটা অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে, এবং ভারী বৃষ্টিতে ওটাকে ওই অবস্থায় ফেলে রাখা যাবে না। আমাগিকাল ফের শুনানি শুরু হবে’।
গত ৯ সেপ্টেম্বর অভিনেত্রীর মনিকর্ণিকা ফিল্মসের অফিস বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বৃহন্মুম্বই পুরসভা। বিএমসির দাবি অনুমতি না নিয়েই ওই সম্পত্তিতে নির্মাণগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। যদিও কঙ্গনার দাবি, বিএমসি যে কাজ করেছে তা বে-আইনি। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এই মর্মে বিএমসির কাছে ২ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করলেন কঙ্গনা রানাওয়াত।
ব্যক্তিগত রোষ থেকেই একাজ করেছে বিএমসি, দাবি কঙ্গনার। সম্প্রতি শিবসেনা ও মহারাষ্ট্র সরকারের সমালোচনা করাতেই এই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হল তাঁক, জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
যদিও বিএমসি কঙ্গনার সব অভিযোগ উড়িয়ে হলফনামা জমা দিয়েছে হাইকোর্টে।