তিনি অভিনেত্রী, তবে এবার তিনি হিমাচলপ্রদেশের 'মান্ডি' থেকে ভোটে লড়ছেন। জোর কদমে চলছে ভোট প্রচার। আর এই প্রচারে নেমেই কঙ্গনা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন, বিষয়টা কিন্তু মোটেও সহজ নয়। ভোট যুদ্ধ যে ফিল্মি যুদ্ধের মতো সিনেমাটিক নয়, তা বেশ বুঝেছেন বলিউড 'কুইন'। প্রচারে নেমে কীই না করতে হচ্ছে কঙ্গনাকে। আর সেকথাই অকপটে স্বীকার করেছেন কঙ্গনা।
কঙ্গনার কথায়, ‘সিনেমা বানানোর জন্য ফিল্মি সংগ্রাম এই যুদ্ধের সামনে রসিকতার মতো!’ কঙ্গনা নিজের ইনস্টাস্টোরিতে প্রচারের ভিডিও পোস্ট করেছেন। ক্যাপশানে লেখেন, ‘গত ৬ জানুয়ারী সভা (জনসমাবেশ) শেষে এবং দলীয় কর্মীদের সঙ্গে একাধিক সাক্ষাৎ ও অভিবাদন বিনিময়ের পর আমি হেঁটেছি। আর সেটা অত্যন্ত খারাপ গ্রামীণ পাহাড়ি রাস্তা। একদিনে ৪৫০ কিমি হেঁটেছি, এমনকি রাতেও চলেছে সেই যাত্রা। এদিকে আমার কাছে ঠিকমতো খাবার বা জলখাবার কিছুই নেই। তখন আমি আমার গাড়িতে বসে ভাবছি, সিনেমা বানানো নিয়ে ফিল্মি লড়াই এই যুদ্ধের কাছে খানিকটা রসিকতার মতো।’
আরও পড়ুন-আদৃতের সোহাগে-আদরে মাখামাখি হতে একান্তযাপন, মধুচন্দ্রিমায় কোথায় গেলেন 'নতুন বউ' কৌশাম্বি?

এদিকে চলতি সপ্তাহের শুরুতেই মান্ডি লোকসভা আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন কঙ্গনা। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর কঙ্গনা বলেন, ‘আজ আমি মান্ডি লোকসভা কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছি। মান্ডি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাওয়া আমার কাছে গর্বের বিষয়। আমি বলিউডে সফল হয়েছি এবং আমি আশাবাদী যে আমি রাজনীতির ক্ষেত্রেও সাফল্য পাব।’
প্রসঙ্গত, ১ জুন শেষ দফায় ভোট, ওইদিনই মান্ডিতও নির্বাচন হবে। আর তখনই সেখানকার মানুষ রাজনীতিতে কঙ্গনার ভাগ্য নির্বাচন করবে। এখন দেখার এই নির্বাচনে ভোটে লড়ে কঙ্গনা সফল হন কিনা!
ইমার্জেন্সি
এদিকে নির্বাচনের কারণেই পিছিয়ে গিয়েছে কঙ্গনার ছবি ‘ইমার্জেন্সি’র মুক্তি। এর আগে ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তবে ওই দিন ছবি মুক্তি পাচ্ছে না। মুক্তির দিন শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন কঙ্গনা।