হিন্দি ছবির নায়িকা মাত্রেই হবে তন্বী,নিটোল শরীরী গড়ন,আকর্ষণীয়,দুর্দান্ত হাসি। এবং অতিঅবশ্যই নিখুঁত ফর্সা গায়ের রং। বহু বছর ধরেই হিন্দি ছবির নায়িকারা পর্দায় আবির্ভূত হয়েছেন তথাকথিত এই 'কপিবুক'ফর্মুলা মেনেই। ইদানিং সেই 'নিয়ম' ভাঙা হলেও পুরোপুরি মুছে যায়নি যদিও। দর্শকদের একাংশও যে পর্দায় নায়িকাদের এইভাবেই দেখতে অভস্ত্য,অস্বীকার করা যায় না সেকথাও। এবার কঙ্গনা রানাওয়াতও মুখ খুললেন নায়িকাদের ফর্সা রং নিয়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বদ্ধ সংস্কারের কথা। এ প্রসঙ্গে কঙ্গনা সরাসরি বলেছেন যে তাঁর নিজের গায়ের রংয়ের সুবাদে রীতিমতো আরাম করে ফুরফুরে কেরিয়ার চালিয়ে যেতে পারতেন তিনি। তবে সে পথ পা বাড়াননি। কঙ্গনার কথায়,' পরিচালক,প্রযোজকদের বোঝাতে চেয়েছি নিজের উজ্জ্বল গায়ের রঙ,সৌন্দর্য্যটুকুই শুধু আমার মূলধন নয়। এর বাইরেও আমার গুণ রয়েছে।' তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও 'ফর্সা রং মানেই সুন্দরী' এই ধারণার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন কঙ্গনা। যার জেরে মোটা টাকার প্রস্তাব পেলেও কোনও ফেয়ারনেস করিমের বিজ্ঞাপনী প্রচারের 'মুখ' হননি তিনি। এই ব্যাপারে এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে 'ক্যুইন' বলেন,' ইন্ডাস্ট্রির অনেকের কাছেই সৌন্দর্য্যের একমাত্র ব্যাখ্যা হচ্ছে গায়ের ধবধবে ফর্সা রং। আমি রীতিমতো পরিশ্রম করে আজ কেরিয়ারে এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি। যদি 'ওঁদের' দেওয়া প্রস্তাব শুনতাম তাহলে হয়তো কেরিয়ারের শুরু বছর চারেক কোনও ঝুঁকি ছাড়াই দিব্যি ফুরফুরে নায়িকার জীবন কাটাতে পারতাম। কিন্তু আমি তা করিনি। বোঝাতে চেয়েছিলাম আমি সৌন্দর্য্যসর্বস্ব নই। আর তাছাড়া নিজের আমার গায়ের রং মোটেই পছন্দের নয় আমার। বলতে পারেন অন্যতম অপছন্দের!'
ঠিক এই ভাবনার থেকেই কোনও ফেয়ারনেস করিমের বিজ্ঞাপন আজ পর্যন্ত করেননি তিনি। এ বিষয়ে কঙ্গনা জানালেন,' আমার বোন রঙ্গোলির গায়ের রং একটু শ্যামলা হলেও ভীষণ সুন্দরী সে। তাই আমি যদি ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞপনের মুখ হই, তাহলে পরোক্ষভাবে সেটা আমার বোনকে অপমান করা। তাহলে আমি যদি আমার বোনকে অপমান করা থেকে বিরত হই,তাহলে কিভাবে ঠিক সেই একই জায়গা থেকে দেশের বাকি নারীদের আমি অপমান করতে পারি?'