নিজের সিনেমা এমার্জেন্সি-র মুক্তি নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। ছবির বেশ কিছু দৃশ্যে আপত্তি জানিয়েছে সেন্সরবোর্ড। শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিবাদের মুখে পড়ে, ছবির অবস্থা টালমাটাল। কঙ্গনার দাবি, তিনি নিজেও জানেন না, সেই দৃশ্যগুলোতে কাঁচি পড়লে, পর্দায় কীভাবে মেকআপ করবেন। ফলত সিনেমার ভবিষ্যত নিয়ে আরও একবার ধোঁয়াশা।
এরই মাঝে সিনেমা ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সেন্সশিপের ফারাক নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কঙ্গনা। অবশ্য সেটা তিনি করেন ভারতীয় জনতা পার্টির আইটি সেলের জাতীয় আহ্বায়ক অমিত মালব্যর একটি পোস্ট শেয়ার করে।
আরও পড়ুন: সিগারেটে সুখটান ধোনির বউ সাক্ষীর! এক নায়িকার পোস্ট থেকে সামনে এল ছবি, তুমুল ভাইরাল
কী লেখা অমিত মালব্যর পোস্টে?
অমিত তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘IC-814-এর হাইজ্যাকাররা ছিল ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী, যারা তাদের মুসলিম পরিচয় গোপন করার জন্য ছদ্মনাম রেখেছিলেন। চলচ্চিত্র নির্মাতা অনুভব সিনহা, তাদের অমুসলিম নামগুলিকে তোল্লাই দিয়ে তাদের অপরাধমূলক উদ্দেশ্যকে বৈধতা দিয়েছেন। ফলাফল? কয়েক দশক পরে, লোকেরা মনে করবে হিন্দুরা IC-814 হাইজ্যাক করেছে।’
আরও পড়ুন: ‘রাজনীতি করা তো দূরের কথা, ঠিক করে মোসাহেবি…’! তৃণমূলী কাঞ্চনের ‘শিক্ষা’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ঋদ্ধি
‘পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের, যারা সবাই মুসলিম, তাদের অপরাধকে হোয়াইটওয়াশ করা বামেজের এজেন্ডা। এটি সিনেমার শক্তি, যা কমিউনিস্টরা সত্তরের এর দশক থেকে আক্রমণাত্মকভাবে ব্যবহার করে আসছে। হয়তো আরও আগে থেকে। এটি দীর্ঘমেয়াদে ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শুধু দুর্বল করবে না। বরং একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর থেকেও দোষ সরিয়ে দেবে, যা সমস্ত রক্তপাতের জন্য দায়ী।’
অমিত মালব্যর পোস্ট শেয়ার করে যা লিখলেন কঙ্গনা:
অমিত মালব্যর পোস্ট শেয়ার করে কঙ্গনা রানাওয়াত টুইট করলেন, ‘দেশের আইন হল, যে কেউ কোনও সেন্সরশিপ ছাড়াই ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলিতে অকল্পনীয় পরিমাণ সহিংসতা এবং নগ্নতা দেখাতে পারে, কেউ তাদের রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত অশুভ উদ্দেশ্য অনুসারে বাস্তব জীবনের ঘটনাগুলিকেও বিকৃত করতে পারে, কমিউনিস্ট বা বামপন্থীদের জন্য সমস্ত স্বাধীনতা রয়েছে এই ধরনের জাতীয়তা বিরোধী অভিব্যক্তির জন্য। তবে ন্যাশনালিস্ট হিসেব কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আমাদের ভারতের অখণ্ডতা এবং ঐক্য নিয়ে ছবি বানাতে দিতে চায় না। দেখে মনে হয় সেন্সরশিপের নিয়ম শুধু আমাদের মতো কয়েকজনের জন্য, যারা এই জাতিকে টুকরো করতে চান না। এবং সিনেমা নির্মাণ করতে চান ঐতিহাসিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এটা যেমন অন্যায্য, তেমনই মন ভেঙে দেওয়া।’