কঙ্গনা জানালেন তাঁর উপর এই বিনোদন জগৎ থেকেই কেউ নজরদারি চালাচ্ছেন। রবিবার এই অভিনেত্রী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। সেই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি লিখেন যে খুব সম্ভবত কেউ তাঁর উপর নজরদারি চালাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, তিনি এও দাবি করেন যে একজন 'প্রেমজীবী' এবং তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রীর হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট ফাঁস করে দিচ্ছেন। তিনি সরাসরি ভাবে তাঁদের নাম করেননি ঠিকই কিন্তু তাঁদের জীবন, তাঁদের ব্যাপারে অনেক তথ্য ভাগ করে নিয়েছেন সেই পোস্টে।
তিনি লেখেন যে পাপারাজ্জিরা নাকি একটি ড্যান্স স্টুডিও পর্যন্ত তাঁকে ফলো করে চলে যান রবিবার। অথচ অভিনেত্রী নাকি এই বিষয়ে কোনও পাপারাজ্জিকে কোনও কথা জানাননি। তিনি লেখেন, 'আমি যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই কেউ না কেউ আমায় ফলো করছে। এবং আমার উপর নজরদারি চালাচ্ছেন। শুধু রাস্তায় নয়। আমার বাড়ির পার্কিং এরিয়ায়, আমার বাড়ির ছাদে, সহ সর্বত্র। সবসময় যেন আমার উপর ক্যামেরা তাক করে রেখে দিয়েছে। এটা সবাই জানে যে পাপারাজ্জিদের অভিনেতারাই খবর দেন। শুধু তাই নয় আজকাল তো অভিনেতারাই ওদের টাকা দেন ছবি তোলার জন্য। আমি বা আমার টিম তো তেমন কিছু করি না। তাহলে আমার ছবি তোলার জন্য কে টাকা দিচ্ছে? ভোর ৬.৩০ আমার ছবি তুলছে। আমার শেডিউল কী করে পাচ্ছে ওরা? এই ছবিগুলো নিয়েই বা কী করা হচ্ছে? সকালবেলা আমি আমার কোরিওগ্রাফি শেষ করে যখন স্টুডিও থেকে বেরোচ্ছি দেখি ওরা অনেকে বাইরে দাঁড়িয়ে। আমি যে এখানে এই সময় থাকব সেটা তো কেউ আগে জানায়নি ওদের। তাহলে কী করে খবর পেল ওরা?'
তিনি তাঁর পোস্টে আরও জানান এই ইন্ডাস্ট্রির এক 'প্রেমজীবী' এসবের নেপথ্যে রয়েছেন। তিনি জানান যে সেই ক্যাসানোভার স্ত্রীও তাঁর সঙ্গে যুক্ত আছেন এই কাজে। তিনি লেখেন, 'আমি নিশ্চিত যে আমার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে আমার ব্যক্তিগত এবং কর্মজীবনের নানা তথ্য ফাঁস করা হচ্ছে। এই নেপো মাফিয়া জোকার একবার আমার বাড়ি পর্যন্ত চলে এসেছিল না বলে। আমার উপর জোরও খাটাতে গিয়েছিল এই লোকটি। শুধু তাই নয়, নেপো মাফিয়া দলের তিনিই এখন প্রেসিডেন্ট বলা যায়। সেই ক্যাসানোভা তার স্ত্রীকে বাধ্য করেছে প্রোডিউসার হতে, এবং আরও বেশি মহিলাকেন্দ্রিক ছবি বানাতে। ওর স্ত্রীকে তো আমার মতো পোশাক পরায়। শুধু তাই নয় আমার স্টাইলিস্ট থেকে ইন্টিরিয়র ডেকরেটরকে দিয়েই সব কাজ করায়। ওদের জন্য আমার সঙ্গে আগে যত কাজ করত তারা আর কেউ কাজ করে না।'
অভিনেত্রীর আরও দাবি সেই ‘প্রেমজীবী’ পুরুষের স্ত্রী নাকি তাঁদের বিয়ের দিন কঙ্গনা তাঁর ভাইয়ের বিয়েতে যেমন শাড়ি পরেছিলেন ঠিক তেমন একটি শাড়ি পরেছিলেন। এই পোস্টে তিনি সেই ক্যাসানোভার স্ত্রীকে পরামর্শ দেন, লেখেন, 'নিজের জীবনের দায়িত্ব নিক। কোনও বেআইনি বা অনৈতিক কাজে যেন সে নিজেকে না জড়ায়। অনেক ভালোবাসা তাঁকে এবং তাঁর সন্তানকে।'
এই পোস্টের পর বহু নেটিজেনরা বিশ্বাস করছেন যে এই পোস্টটি রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাটকে নিয়েই লেখা। নাম না করে তাঁদের কটাক্ষ করেছেন অভিনেত্রী। রেডইটে এটা নিয়ে চর্চা চলছে। এখানে এক ব্যক্তি লেখেন, 'আলিয়াকে এবার ওঁর ছাড়া উচিত। এবার উনি অতিরিক্ত করে ফেলছেন। সবেতেই আলিয়ার সঙ্গে যোগ খুঁজে পাচ্ছেন।' আরেক ব্যক্তি লেখেন, 'রণবীর এবং আলিয়াকে নিয়ে ওর পাগলামি অত্যন্ত বোকা বোকা। আরে ভাই যাও না নিজের কাজ করো।'
এটাই প্রথম না, দীর্ঘদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নাম করে আলিয়া এবং রণবীরকে নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা। একবার তো আলিয়াকে তিনি মিডিওকার বলেও মন্তব্য করেন। এমনকি যখন গত বছর তাঁদের সন্তান আসছে বলে ঘোষণা করেন তখনও কঙ্গনা বলেন এটা নাকি প্রমোশনের একটা অঙ্গ!