মালয়ালম সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলাদের উপর চরম বৈষম্য ও যৌন শোষণ নিয়ে হেমা কমিটির রিপোর্টের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া নতুন সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা জানান, তিনি অনেক আগে থেকেই এই বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলছেন, কিন্তু কেউ সেদিকে নজর দেয়নি। তিনি আইটেম গানের প্রচারের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন একাধিকবার।
যা বললেন কঙ্গনা
যখন কঙ্গনাকে কেরালা ইন্ডাস্ট্রির ধর্ষণ সংস্কৃতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়, এবং সঙ্গে জানতে চাওয়া হয় এটি প্রতিটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য সত্য কিনা, তিনি বলেছিলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই, এটি একটি আশাহীন জায়গা। আমি আমার কেরিয়ার থেকে শুরু করে, জীবনের সব কিছু ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছি। আমার বিরুদ্ধে দুটো মামলা আছে। আমি মি টু আন্দোলন শুরু করেছি যা কোথাও যায়নি। আমি সমান্তরাল নারীবাদী সিনেমা শুরু করেছিলাম কিন্তু এই মহিলারা আমাকে আক্রমণ করেছিল! এই মহিলারা যারা আমার জন্য এই ধরনের চরিত্রগুলি পরবর্তীতে করতে পেরেছিলেন। পারিশ্রমিকের সমতার জন্য লড়াই করেছি আমি সক্রিয়ভাবে। আমি কোন খান, কাপুর বা কুমারের সিনেমা করিনি। আমার ছবি ভালো হলে, ওরা লুকিয়ে থাকে। দশ বছর আগে আমির খানের সত্যমেব জয়তে-তের এপিসোড দেখতে পারেন। আমি সিনেমার স্ক্রিপ্টে নারীর সম্মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। তাতে মেয়েটা বলছে 'না, না, না!' কিন্তু ছেলেটি বলছে 'হ্যাঁ, হ্যাঁ, হ্যাঁ!' আমি রেপ কালচার, আইটেম নম্বরের বিরোধিতা করে কথা বলেছিলাম।’
আরও পড়ুন:
'ম্যায়নে সব কো দুশমন বানা লিয়া'
তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে আমি সবাইকে আমার শত্রু বানিয়ে নিয়েছি। আমরা এখন কোথায় গিয়ে শেষ করব? একই ধরনের সেক্সিস্ট সিনেমা, নারী নির্যাতনের প্রচার, এখনও একইভাবে হয়ে চলেছে। কেরালা নিয়ে এই প্রতিবেদন নিয়ে আমি অনেকদিন ধরেই কথা বলছি। এর ফলে কী হবে? কিছুই হবে না। এটা একটি আশাহীন জায়গা। আমি মনে করি পরিবর্তন আনার চেষ্টা করে আমি আমার অনেক সময় নষ্ট করেছি। আমার খুব খারাপ ও হতাশ লাগে যখন, মহিলারা আইটেম নম্বরগুলির প্রচার করেন। যেখানে মেয়েদের ভোগ্যপন্য হিসেবে দেখায়। এই নারীরা অন্য নারীর সাহায্যে এগিয়ে আসেন না। আমি খুব হতাশ হই, যখন এরা বলে, এত ঝগড়া কেন হচ্ছে? আমি কাদের জন্য লড়াই করছি! আমি তো এই করতে গিয়ে অর্থ, ব্র্যান্ড সব হারিয়েছি।’
কঙ্গনাকে আগামীতে এমার্জেন্সি ছবিতে দেখা যাবে, যেখানে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করবেন। সিনেমাটি তাঁর লেখা, পাশাপাশি ছবি পরিচালনাও করেছেন। এতে আরও অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমান, শ্রেয়াস তলপাড়ে এবং প্রয়াত সতীশ কৌশিক। এটি ৬ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।