বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে ফের আক্রমণ করলেন অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত। শনিবার, কঙ্গনা রাহুল গান্ধীর একটি বিকৃত ছবি শেয়ার করেছেন যেখানে তাকে একটি মাথার টুপি, কপালে হলুদ টিকা ও গলায় একটি ক্রস নেকলেসে দেখা গিয়েছে। ছবিটি শেয়ার করে সংসদে জাতিগত জনগণনা নিয়ে রাহুলের করা মন্তব্যে কটাক্ষ করেন তিনি। তবে কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতে, নিজেই ট্রোল হয়ে যান।
ছবি পোস্ট করে কঙ্গনা লেখেন, ‘জাতিজীবী, যে চায় জাত না পুছে জাতিগত জনগণনা করা হোক।’
আরও পড়ুন: সবচেয়ে মজা মামুর সঙ্গে! অর্পিতার মেয়ের মন পেতে মুখের যা হাল করলেন সলমন
আর কঙ্গনার করা এই পোস্টই চলে এসেছে তাঁর বিপক্ষে। এই মুহূর্তে ২০ হাজারের বেশি পোস্ট তাঁর বিরুদ্ধে। অনেকেই তাঁকে ‘ট্রোল’ সম্বোধন করেছেন, যিনি সংসদের জন্য অযোগ্য। ‘এটি একটি আবেদন @siddaramaiah, @revanth_anumula and @mkstalin-এর কাছে। কঙ্গনা একটি লজ্জাজনক, নিম্নরুচির মর্ফ ছবি শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে। এই জন্য তাঁকে আদালতে টেনে আনা হোক, একটা অনলাইন এফআইআর কোনও কাজে আসবে না। #KanganaRanaut একজন অসুস্থ, তাকে শাস্তি না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া উচিত না।’, লেখেন একজন।
‘মানুষ দেখছে… তারা আপনার ঘৃণার জবাব দেবে’, টুইট দ্বিতীয়জনের। ‘কঙ্গনা রানাওয়াত জাতিগত জনগণনা নিয়ে রাহুল গান্ধীকে বিদ্রূপ করেছিলেন, তবে তিনি তেজস, ধাকাড়, থালাইভি এবং আরও অনেক ফ্লপ ছবি করেছেন। নিজের ব্যর্থতার কথা মাথায় রেখে অন্যকে ট্রোল করা উচিত নয়। রাহুল গান্ধী অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা, তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের প্রয়োজন নেই।’
অন্য আরেকটি টুইটে লেখা হয়, ‘কঙ্গনা রানাওয়াত হায় হায়! তোমার জন্য লজ্জা লাগে, তোমার বাবা-মা তোমাকে কী ধরনের আদব-কায়দা দিয়েছে। দয়া করে @INCIndia পদক্ষেপ নিন’।
রাহুল গান্ধীকে নিয়ে কঙ্গনার আগের পোস্ট
সম্প্রতি কঙ্গনা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে জনসভায় রাহুলের জাতপাত নিয়ে কথা বলার একটি পুরনো ভিডিয়ো শেয়ার করে নেন। আর তাতে লেখেন, ‘আপনি নিজের জাত সম্পর্কে কিছুই জানেন না, আপনার দাদু মুসলিম, ঠাকুমা পার্সি, মা খ্রিস্টান। মনে হয় কেউ ভাত এবং ডাল বানানোর জন্য কারি পাতা দিয়ে পাস্তা মেখেছেন। এদিকে উনি সবার জাত জানতে চান।’
কী বললেন রাহুল গান্ধী
এর আগে গত মঙ্গলবার জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে করা অনুরাগের ঠাকুরের মন্তব্যে উত্তাল লোকসভা। অনুরাগ মন্তব্য করেন, 'যার জাতের ঠিক নেই, সে আবার জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে কথা বলছে।' পরে অনুরাগ নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দেন, ‘আমি বলেছিলাম যে জাতপাত সম্পর্কে জানেন না এমন কেউ আদমশুমারির কথা বলেন। আমি কারও নাম বলিনি।’
এর জবাবে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আপনি আমাকে যত খুশি অপমান করতে পারেন, তবে আমরা সংসদে জাতিগত জনগণনা পাস করব। অনুরাগ ঠাকুর আমাকে গালিগালাজ করেছেন, অপমান করেছেন। কিন্তু আমি তার কাছে কোনো ক্ষমার আশাও করি না।’