কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন পঞ্জাবি তারকা দিলজিত্ দোসাঞ্জ, অন্যদিকে কৃষিবিলের সপক্ষে সুর চড়িয়েছেন কঙ্গনা। কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরেই টুইটারে বাকযুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে এই দুই তারকার। তবে দুজনের ঝামেলায় আচমকাই ঢোকবার চেষ্টা করছে ফুড ডেলিভারি সংস্থা জোম্যাটো, অভিযোগ কঙ্গনার।
কঙ্গনা চেনা ভঙ্গিতে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে টুইট করলেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি জোম্যাটো আমার আর দিলজিতের মাঝে রেফারির ভূমিকা নেওয়ার চেষ্টা করছে’। এই ফুড ডেলিভারি সংস্থা কঙ্গনাকে বুলি করবার চেষ্টা করছে এমনই দাবি নায়িকার। হিন্দিতে অভিনেত্রী যোগ করেন, ‘আমরা এক ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করি, আজ লড়াই করছি, কাল ফের এক হব। তোমরা নিজেদেরটা দেখ,আমাদের চক্করে নিজেরা রাস্তায় বসে যেও না’।
নিজের টুইটের সঙ্গে একটি প্রতিবেদনের লিঙ্ক জুড়ে দেন কঙ্গনা। দ্য ফেয়ারওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে ১১টি খাদ্য সরববাহকারী সংস্থাগুলির মধ্যে জোম্যাটোর কাজের পরিবেশ সবচেয়ে খারাপ। সম্ভাব্য ১০-এর মধ্যে মাত্র ১ পয়েন্ট পেয়েছে জোম্যাটো। বৃহস্পতিবার জোম্যাটোর ফাউন্ডার দীপেন্ডর গোয়েল এই খারাপ পারফরম্যান্সের ‘সম্পূর্ণ দায়’ স্বীকার করেছেন।
দিলজিত দোসাঞ্জকে কপি করে, এই ফুড ডেলিভারি সংস্থা পঞ্জাবিতে টুইট করেছিল, ‘এক গল দসো, আজ ডিনার চ ক্যায়া খাওগে?' ( একটা কথা বল, আজ ডিনারে কী খাবে?'
গত ২৭ নভেম্বর এক শিখ মহিলাকে শাহিনবাগের আন্দোলনের ‘দাদি’ হিসেবে টুইটারে উল্লেখ করেছিলেন কঙ্গনা। দাবি করেছিলেন, ১০০ টাকার জন্য শাহিনবাগের ‘দাদি’ কৃষক বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে কঙ্গনা সেই টুইট ডিলিট করেন। সেই টুইট নিয়ে শুরু দিলজিত্-কঙ্গনার টুইট যুদ্ধ।
গত ৩রা ডিসেম্বর টুইটারে ওই শিখ মহিলা মহিন্দর কৌরের ভিডিয়ো শেয়ার করে দিলজিৎ লেখেন, ‘সম্মানীয় মহিন্দর কৌরজি। কঙ্গনা রানাওয়াত এই প্রমাণ দেখে নিন। অন্ধ হওয়া উচিত নয়। উনি যা খুশি বলতে থাকেন'। এরপর একের পর এক টুইটে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন দুজনে। এমনকি দিলজিৎ-কে সরাসরি করণ জোহরের ‘পোষ্য’ বলে কটাক্ষ করেন কঙ্গনা।