মহাত্মা গান্ধী ও লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে লোকসভার সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নতুন বিতর্ক উস্কে দিলেন। অভিনেত্রী একটি পোস্টে শাস্ত্রীর ১২০তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন। কংগ্রেস দাবি, জাতির জনক হিসেবে মহাত্মা গান্ধীর মর্যাদা হ্রাস পেয়েছে।
নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করে কঙ্গনা রানাওয়াত লিখেছেন, ‘দেশের কোনো পিতা হয় না, লাল (সন্তান) হয়, ধন্য এই ভারতমাতার সন্তানরা।’
অন্য একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে, মান্ডির সাংসদ দেশে গান্ধীর স্বচ্ছতার উত্তরাধিকার বহন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। এর ফলে কংগ্রেস পার্টির তরফ থেকে একাধিক আক্রমণাত্মক পোস্ট এসেছে কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধে। অনেকেই তাঁর মন্তব্যকে অশ্লীল এবং নিন্দনীয় বলে অভিহিত করেছেন।
কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে অশ্লীল কটাক্ষ করেছেন। গডসে উপাসকরা বাপু এবং শাস্ত্রীজির মধ্যে পার্থক্য টানেন। নরেন্দ্র মোদী কি তাঁর দলের নতুন গডসে ভক্তকে আন্তরিকভাবে ক্ষমা করবেন? জাতির পিতা আছেন, পুত্র আছেন, শহীদ আছেন। সবারই সম্মান প্রাপ্য।’
আরও পড়ুন: ‘মমতাকে কালীঘাটের ময়না বলা…’! আরজি কর কাণ্ডর প্রতিবাদে হওয়া মহালয়ার মহামিছিল থেকে কী বললেন সোহিনী?
পঞ্জাবের বর্ষীয়ান বিজেপি নেত্রী মনোরঞ্জন কালিয়াও গান্ধী জয়ন্তী নিয়ে কঙ্গনার মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, রাজনীতি তাঁর ক্ষেত্র নয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিয়োতে কালিয়া বলেন, ‘গান্ধীজির ১৫৫ তম জন্মবার্ষিকীতে কঙ্গনা রানাওয়াতের করা মন্তব্যের নিন্দা করছি। স্বল্প রাজনৈতিক জীবনে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভ্যাস গড়ে তুলেছেন তিনি। রাজনীতি তাঁর জন্য নয়। রাজনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কথা বলার আগে ভাবতে হবে... তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য দলের জন্য অশান্তি ডেকে আনছে।’
আরও পড়ুন: ‘সেট থেকে বেরিয়ে যাও…’, জাতীয় পুরস্কার জিতেও শুনতে হয়েছিল মিঠুনকে, কী করেছিলেন?
কৃষি আইন প্রত্যাহারের পক্ষে সওয়াল করেও সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। কঙ্গনা যদিও জানিয়েছেন, তাঁর মন্তব্য ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আদর্শকে প্রতিফলিত করে না।
আরও পড়ুন: মা দুর্গার সামনে অন্তর্বাসে মহিলারা! ‘মাকুদের প্রতিবাদ’ বলে কটাক্ষ তৃণমূলের
কাজের সূত্রে, কঙ্গনা রানাওয়াতকে এরপর দেখা যাবে ইমার্জেন্সি সিনেমাতে। যেখানে ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। সেন্সর জটে আটকে আছে ছবির মুক্তি।