অতীতে জয়া বচ্চনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার তু তু ম্যায় ম্যায়-তে জড়িয়েছেন কঙ্গনা। বর্তমানে তো দুজনেই সাংসদ, যদিও আলাদা আলাদা রাজনৈতিক দলের হয়ে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে, কঙ্গনা কথা প্রসঙ্গে জয়াকে বর্তমান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম 'মর্যাদাবান' নারী বলে অভিহিত করেছেন।
জয়া বচ্চনকে নিয়ে যা বললেন কঙ্গনা
‘জয়া বচ্চনজি আমাদের চলচ্চিত্র জগতের খুব নামী অভিনেতা। সত্যি বলতে, তিনি একটু বদমেজাজি হিসেবেই পরিচিত, তবে একই সময়ে আমি তাঁকে স্বীকৃতি এবং যথাযথ কৃতিত্ব দিতে চাই যে, একটা সময়ে, যখন কেউ কল্পনাও করতে পারত না, ১৯৭০ এর দশকে, নারীকেন্দ্রিক সিনেমায় কাজ করেছেন। তখন গুড্ডির মতো চলচ্চিত্র করেছিলেন। যার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের বার্তা দিয়েছেন। তিনি যেভাবে রাজ্যসভায় নিজেকে তুলে ধরেন, আমার খুব ভালো লাগে যে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে আমাদের এই ধরণের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ‘আপনার অভিনয়ের গুণমুগ্ধ, কিন্তু আপনি ভাবেন কী বলুন তো?’! এবার কুণালের নিশানায় সুদীপ্তা
জয়া বচ্চনকে নিয়ে তাঁর অতীত আক্রমণের কথাও এদিন কঙ্গনা বলেন। ২০২০ সালে জয়া পার্লামেন্টে বলেছিলেন, কীভাবে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর বলিউড লোকেরাই, ইন্ডাস্ট্রিকে আক্রমণ করে চলেছে। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, কঙ্গনা বলেন, ‘ঠিক আছে। আমরা যদি একে অপরকে কিছু বলি... আমি বিশ্বাস করি তিনি আমাদের চেয়ে বয়সে বড়। তিনি যদি আমাদের কিছু বলে থাকেন, তাহলে আমাদের তা গ্রহণ করা উচিত।’
সত্যজিৎ রায়ের 'মহানগর (১৯৬৩) ছবির মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন জয়া বচ্চন। এরপর ১৯৭১ সালে হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের 'গুড্ডি' ছবির মাধ্যমে হিন্দি সিনেমায় অভিষেক ঘটে তার। অমিতাভ বচ্চনকে বিয়ে করার পরপরই তিনি জঞ্জির, শোলে, মিলি, অভিমান এবং সিলসিলার মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় করেছিলেন। ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে করণ জোহরের 'কাভি খুশি কাভি গম' ছবির মাধ্যমে তিনি মূলধারার হিন্দি সিনেমায় ফিরে আসেন। জয়াকে শেষ দেখা গিয়েছিল করণের ২০২৩ সালের ব্লকবাস্টার 'রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি'তে। জয়া পদ্মশ্রী প্রাপক, প্রাক্তন প্রযোজক এবং বর্তমানে রাজ্যসভার সদস্য।
এদিকে কঙ্গনা তার পরবর্তী ছবি 'ইমার্জেন্সি'র মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যা সেন্সর ছাড়পত্র সঠিক সময়ে না পাওয়ার কারণে, মুক্তি পায়নি সেপ্টেম্বরে। এখন দেখার, কবে সিনেমা হলে আসে সেই সিনেমা, যেখানে তিনি ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।