২০২০ সালের ২৬শে জানুয়ারি ঘোষণা করা হয়েছিল পদ্ম-সম্মান প্রাপকদের নামের তালিকা। বলিউড ইন্ডাস্ট্রি থেকে কঙ্গনা রানাওয়াত,করণ জোহর, একতা কাপুর এবং আদনাম সামিদের মতো তারকাদের দেশে চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত করেছিল মোদী সরকার। সোমবার নয়া দিল্লিতে সেই সম্মান তুলে দেওয়া হল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্বদের। গোল্ডেন-গ্রিন শাড়িতে একদম সাবেকি সাজে ধরা দিলেন কঙ্গনা। হাসিমুখে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সম্মান গ্রহণ করলেন সদ্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতা অভিনেত্রী। এবং সম্মান গ্রহণ করার পরপরই ইনস্টাগ্রামে নিজের একটি ভিডিয়ো আপলোড করেছেন কঙ্গনা। সেখানে নিন্দুক ও সমালোচকদের উদ্দেশে কটাক্ষ করতে মোটেই ভুল করেননি তিনি।
ইনস্টাগ্রামের ওই ভিডিয়োতে কঙ্গনাকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে তিনি তাঁর অভিনয় জীবনে বহু পুরস্কার পেয়েছেন কিন্তু পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হয়ে তিনি উপলব্ধি করলেন একজন 'আদর্শ নাগরিক' হিসেবেও দেশ তাঁকে বিবেচনা করেছে। কঙ্গনার কথায়, ' অল্প বয়সে বলিউডে পা রেখেছিলাম। ঠিকঠাক সাফল্য পেতে পেতেই ৮-১০ বছর কেটে গেছিল। শেষপর্যন্ত যখন সাফল্যের স্বাদ পেলাম তা আনন্দ করার সুযোগ পায়নি। বদলে আরও পাঁচটি বিষয়ে জড়িয়ে ফেলেছিলাম নিজেকে। একধারে যেমন ফেয়ারনেস ক্রিমের প্রচার করা থেকে শুরু করে বলিউডের বিগ বাজেটের সব ছবিতে আইটেম নম্বরে নাচ করা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি তেমনই টিনসেল টাউনের তাবড় তাবড় নায়ক ও প্রযোজকদের ছবিতেও কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছি। রোজগারের তুলনায় বেশি শত্রু বানিয়েছি আমি!'
এখানেই না থেমে 'কুইন' ছবির নায়িকা আরও বলেন দেশের বিভিন্ন ব্যাপারে এবং নানান রাজনৈতিক বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য প্রচুর ঝামেলা পোহাতে হয় তাঁকে। তাঁর নাম দায়ের করা হয়েছে একাধিক মামলা। এরপরই নাম না করে নিজের নিন্দুক ও সমালোচকদের উদ্দেশে অভিনেত্রীর কটাক্ষ, 'অনেকেই আমার দিকে আঙ্গুল তুলেছিলেন। বলেছিলেন যে এসব আমি করি কেন? কেন বিভিন্ন বিষয়ে সর্দারি করি? এসব তো আমার কাজ নয়, ইত্যাদি ইত্যাদি। আজকে আশা করি এই জবাবটা তাঁরা পেয়ে গেলেন। আমার হয়ে পদ্মশ্রী সম্মানটাই তাঁদের সেই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিল। আশা করি এই সম্মান তাঁদের সবার মুখ বন্ধ করবে!'