কঙ্গনা রানাওয়াতের ইমার্জেন্সি ছবির মুক্তি জট অবশেষে কাটতে চলেছে। এই ছবির সহ-প্রযোজক জি এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইজেস শুক্রবার বম্বে হাইকোর্টকে জানিয়েছে যে তারা সেন্সর বোর্ডের প্রস্তাবিত কাটছাঁটে সম্মত হয়েছে। এর জেরেই হাইকোর্ট ইমার্জেন্সির রিলিজ সংক্রান্ত পিটিশন খারিজ করে দিল।
প্রযোজকরা ছাঁটের বিষয়ে সহমত হয়েছে
সিনিয়র কৌঁসুলি শরণ জাগতিয়ানি আদালতে বলেছেন, সিবিএফসি-র দাবি মেনে প্রয়োজনীয় কাটছাঁট করা হবে এবং ছবিটি তার শংসাপত্র প্রদানের জন্য সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) এর কাছে জমা দেওয়া হবে।
সিবিএফসি-র তরফে সিনিয়র কাউন্সেল অভিনব চন্দ্রচূড় জানান, ছবিতে পরিবর্তন আনার পর তা জমা পড়লে সেটি যাচাই করে দেখা হবে এবং দু'সপ্তাহের মধ্যেই শংসাপত্র দেওয়া হবে।
বিচারপতি বি পি কোলাবাওয়ালা এবং বিচারপতি ফিরদোশ পুনিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ সেই বয়ান গ্রহণ করে জি এন্টারটেইনমেন্টের দায়ের করা আবেদনের নিষ্পত্তি করেন। আদালত বলেছেন, পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত আদেশ দেওয়া হবে।
ইমার্জেন্সির মুক্তি জটিলতা
প্রাথমিকভাবে ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও সিবিএফসি সার্টিফিকেট না দেওয়ায় আটকে যায় ছবির মুক্তি। এবং সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন নির্মাতারা। বিজেপি সাংসদ কঙ্গনার ছবি ঘিরে সেন্সর জটিলতা তৈরি হওয়ায় অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। গত সপ্তাহে সিবিএফসি হাইকোর্টকে জানিয়েছিল, বোর্ডের রিভাইজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছু কাটছাঁট করা হলে ছবিটিকে U/A সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সেন্সর বোর্ডের তরফে বেঞ্চকে জানানো হয়, কঙ্গনার প্রযোজনা সংস্থা মণিকর্ণিকা এই ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে রাজি হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের মান্ডির বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা পরিচালিত এই ছবিকে শংসাপত্র দেওয়ার জন্য সিবিএফসি-কে নির্দেশ দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জি এন্টারটেইনমেন্ট। যারা এই ছবির সহ-প্রযোজক।
শিরোমণি অকালি দল সহ শিখ সংগঠনগুলি আপত্তি জানানোর পরই এই ছবি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তাদের অভিযোগ, শিখ সম্প্রদায়কে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এই ছবি এবং ঐতিহাসিক ও তথ্যগুলি ভুল রয়েছে ইমার্জেন্সিতে। জি এন্টারটেইনমেন্ট তার আবেদনে দাবি করেছিল যে সিবিএফসি ইতিমধ্যে সিনেমাটির জন্য শংসাপত্র তৈরি করেছে তবে এটি জারি করছে না।
ইমার্জেন্সি প্রসঙ্গে
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে এই ছবিতে দেখা যাবে কঙ্গনাকে। ইন্দিরা সরকার ঘোষিত দেশের জরুরি অবস্থার প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ছবি। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি ছবিটির পরিচালনা ও সহ-প্রযোজনা করেছেন কঙ্গনা। জি এন্টারটেইনমেন্টের অভিযোগ করেছিল রাজনৈতিক কারণে অর্থাৎ হরিয়ানার আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এই ছবির এই শংসাপত্র আটকে দেওয়া হয়েছে। বেঞ্চ তখন প্রশ্ন তুলেছিল, শাসক দল (বিজেপি) কেন কঙ্গনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, যিনি নিজে বিজেপি সাংসদ।