কঙ্গনা রানাওয়াতের পালি হিলসের অফিস বাড়িতে নাকি বেআইনি নির্মাণ রয়েছে। এই অভিযোগ এনে নোটিশ জারির চব্বিশ ঘন্টা পরেই অভিনেত্রীর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল বৃহন্মুম্বই পুরসভা। গত কয়েকদিন ধরেই মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল শিবসেনার সঙ্গে কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরোধ চরমে। তার জেরেই কি চরম মূল্য চোকাতে হল নায়িকাকে? এমনই মত নেটিজেনদের একাংশের।
বুধবার কঙ্গনা রানাওয়াতের শহরে পা রাখার কয়েক ঘন্টা আগেই ভেঙে দেওয়া হয় এই অফিস। আজ নিজের অফিস পরিদর্শনে গেলেন কঙ্গনা। ঢোকার সময় মুখে হাসি ধরে রাখলেও কঙ্গনা মিনিট পনেরো পর ধ্বংসস্তূপ পরিদর্শন করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর অভিব্যক্তি বেশ খানিকটা পালটে গিয়েছিল। এদিন বিকাল চারটের কিছু পর পালি হিলসের অফিসে পৌঁছান কঙ্গনা। সঙ্গে ছিলেন দিদি রঙ্গোলি চান্দেল এবং নায়িকার ওয়াই ক্যাটিগরির নিরাপত্তা।
মনিকর্ণিকা ফিল্মসের অফিসে কোনওরকম বেআইনি নির্মান ছিল না গতকালই সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেন কঙ্গনা। গতকাল সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ নায়িকার আইনজীবীর জবাব খারিজ করবার আগেই বিএমসির আধিকারিকরা এই নির্মান ভাঙার জন্য পৌঁছেগিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গেই বিএমসির পদক্ষেপে বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কঙ্গনা। জরুরি ভিত্তিতে সেই মামলায় শুনানি সময় ধার্য হয়েছিল বুধবার দুপুর ১২.৩০টায়। তবে বিএমসি অপেক্ষা করেনি। আদালতের তরফে কাজ বন্ধের নির্দেশ আসবার আগেই বিএমসির তরফে ভেঙে দেওয়া হয় কঙ্গনার অফিসের বেশিরভাগ অংশ। কঙ্গনার আইনজীবী আগেই অভিযোগ করেছেন সহজেই সরানো যেত এমন ফার্নিচার, অ্যান্টিক ছবি ভেঙে দিয়েছে বিএমসি।
আজ বম্বে হাইকোর্টে দুপুর ৩টের সময় এই মামলার শুনানি হয়। বিএমসি নিজের হলফনামায় আদালতকে জানায় তারা কোনও বেআইনি কাজ করেনি।বিএমসির অনুমতি ছাড়াই ওই বাড়ির স্ট্রাকচারে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছিল। নিজের পিটিশনে সেই বিষয়টি উল্লেখ করেননি কঙ্গনা অভিযোগ বৃহন্মুম্বই পুরসভার। কাজ বন্ধের নোটিশ দেওয়ার পরেও বেআইনি নির্মানকাজ বন্ধ না হলে বৃহন্মুম্বই পুরসভার অধিকার আছে তা ভেঙে দেওয়ার।
বিচারপতি এস জে কাথাওয়ালা এবং বিচারপতি আর আই চাগলা বিএমসির জবাব শুনে জানান ওই পিটিশন অত্যন্ত দ্রুত দাখিল করেছিলেন কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি। তিনি কঙ্গনার তরফে আরও দলিল আদালতের সামনে পেশ করতে চান, যে অনৈতিকভাবে বিএমসি অভিনেত্রীর অফিস বাড়ি ভেঙে দিয়েছে।
এরপরে আদালত সিদ্দিকীকে এই সংশোধনী করার এবং সোমবার পর্যন্ত বিএমসির হলফনামার প্রত্যুত্তর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২২ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। তবে বুধবার নিজের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট স্পষ্ট জানায় বিএমসির এই উদ্যোগ দেখে তা বলপূর্বক বলে মনে হচ্ছে।