সোমবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে উঠা বলিউড গায়িকা কনিকা কাপুর। ২০শে মার্চ কনিকা করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসবার পর থেকেই লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউড অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন বেবি ডল গায়িকা। এদিন কনিকার ষষ্ঠ করোনার নমুনা টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ আসার পরেই তাঁকে ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাড়ি ফেরবার আগে হাসপাতালের সকল চিকিত্সক এবং নার্সদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন কনিকা। হাসপাতালের ডিরেক্টর ডঃ আর কে ধীমান জানিয়েছেন, ‘কনিকার পঞ্চম এবং ষষ্ঠ, পরপর দুটো নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে, তাই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হল। এটা একটা দারুণ খবর কারণ হাসপাতালের সকল চিকিত্সক এবং কর্মচারীদের জন্য। আমাদের চিকিত্সকরা প্রত্যেক করোনা সংক্রমিতদের সেরে উঠবার ধরণ খুব কাছ থেকে পরীক্ষা করছে, আগামী দিনে এই বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করেই করোনা চিকিত্সার একটা নির্দিষ্ট দিশা পাওয়া যাবে’।
কনিকার বাবা রাজীব কাপুর জানিয়েছেন, ‘এটা দারুণ খবর, সোমবার সকালের সেরা খবর। কনিকা বাড়ি ফিরে এসেছথে এবং আমরা সবাই খুব খুশি ওকে সুস্থ থেকে। আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যাঁরা এই কঠিন সময়ে ওর পাশে থেকেছে। কনিকাকে আগামী কয়েকদিন বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছে’।
কনিকা করোনা পসিটিভ হওয়ার খবর সামনে আসার পর থেকেই রোষের মুখে পড়েছেন শিল্পী। ৯ মার্চ করোনা সংক্রমনে জর্জরিত লন্ডন থেকে ফিরে প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেননি কনিকা। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কথা উপেক্ষা করে এক শহর থেকে অন্য শহরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বেবি ডল গায়িকার দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ নিয়ে ক্ষুদ্ধ নেটিজেনরা। পাশাপাশি এই কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণের জন্য ইতিমধ্যেই লখনউয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নির্দেশে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮, ২৬৯ এবং ২৭০ ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে কনিকার বিরুদ্ধে।