গত কয়েকদিন ধরে ঘুম উড়েছে কানপুরের কল্পনা টাওয়ার্সের ৩৫ জন বাসিন্দার। এইখানেই করোনা আক্রান্ত বলিউড গায়িকা কনিকা কাপুরের মামার ফ্ল্যাট। গত ১৩ মার্চ মামা বিপুল টন্ডনের ফ্ল্যাটে গৃহপ্রবেশের পার্টিতে হাজির হয়েছিলেন বেবিডল গায়িকা। সেখানেই কনিকার সংস্পর্শে আসেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে ১১ জন সাময়িক স্বস্তি পেলেন সোমবার রাতে। কনিকার মামা এবং তাঁর পরিবার সহ আবাসনের ১১ জন বাসিন্দার করোনা টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এখনও ২৪ জন আবাসিকের রিপোর্টের অপেক্ষা চলছে, জানিয়েছেন ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেট ব্রহ্মা রাম তিওয়ারি। স্যানিটাইজ করা হয়েছে গোটা আবাসন।
চিফ মেডিক্যাল অফিসার অশোক শুক্লা জানিয়েছেন, ‘শুক্রবার এবং শনিবার ৩৫ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সোমবার কনিকার মামার পরিবারের আট সদস্য সহ অন্য তিনজনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকি ২৪ জনের রিপোর্টের অপেক্ষা করছি আমরা’।
যদিও সোমবার কনিকা কাপুরের দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও তাঁর শরীরে COVID-19 ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। কনিকার পরিবার, গায়িকার প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলাতেই ফের একবার পরীক্ষা করা হয় রক্তের নমুনা। আপতত লখনউয়ের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কনিকা কাপুর।
লন্ডন থেকে ৯ মার্চ ভারতে ফেরার পর দুদিন পর মুম্বই থেকে লখনউ পৌঁছান কনিকা। বাড়িতে দুদিন কাটানোর পর ১৩ তারিখ কানপুরে মামার ফ্ল্যাটে যান কনিকা। ১৪-১৬ মার্চ লখনউয়ের একটি পাঁচতারা হোটেলে ছিলেন এই শিল্পী। এই সময়ের মধ্যে কারা কারা কনিকা সংস্পর্শে এসেছে তা খতিয়ে দেখে ১৬০ জনের দীর্ঘ একটি তালিকা তৈরি করেছে লখনউ পুলিশ।
প্রশাসনের তরফে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হলেও সে কথা শোনেনি কনিকা। জানিয়েছেন লখনউয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। যার জেরে লখনউ পুলিশ আগেই আইপিসির ১৮৮,২৬৯ এবং ২৭০ ধারায় কনিকা কাপুরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে।