২০১৭-২০১৮ সময়টুকু মোটেই ভালো যায়নি কপিল শর্মার। জনপ্রিয় এই কৌতুক অভিনেতা এই গোটা সময় জুড়ে ভুগছিলেন তীব্র অবসাদে। সম্প্রতি, কপিল জানিয়েছেন তাঁর ওই কঠিন সময়ে স্ত্রী গিনি যেভাবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ভরসা জুগিয়ে গেছিলেন তা এককথায় অকল্পনীয়। আরও জানালেন, এতটাই অবসাদে ভুগছিলেন যে সেই সময় তিনি নিজেও বুঝতে পারতেন না তাঁর সঙ্গে হওয়া চলা নানারকম ঘটনাপ্রবাহ।
ফিভার এফএম আয়োজিত বাউন্স ব্যাক ভারত ফেস্ট অনুষ্ঠানে নিজের সেই কঠিন সময়ের কথা তোলেন কপিল। স্ত্রীয়ের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলার পাশাপাশি আরও জানান যে সেই সময়ে তাঁর কিছুই ভালো লাগত না। বুঝতে পাড়ার সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলোও ঠিক করে কাজ করত না। ' ওই সময় চারপাশে জুড়ে সবকিছু এতটাই নেগেটিভ ছিল যে মনেই হত না এই সময় কাটিয়ে বেরোতে পারব আমি। এত জটপাকানো, খারাপ চিন্তা মাথায় ঘুরঘুর করত যে ভালো কিছু ভাবতেই পারতাম না। তবেআমি না বুঝলেও আমাকে ঘিরে চারপাশে কী হচ্ছিল, আমার নিজের কী কী অসুবিধে হচ্ছিল তা কেবল টের পেয়েছিল আমার স্ত্রী'।
সামান্য থেমে এই জনপ্রিয় বলি-ব্যক্তিত্ব আরও বলে ওঠেন, 'আমার মা খুব ছোট্ট এক গ্রামের মানুষ। তিনি অবসাদ শব্দটাই হয়ত শোনেননি। আমার নিজের অবস্থাও কতকটা সেরকমই ছিল। এরপর সংবাদপত্র, সংবাদমাধ্যম দেখে তবে বুঝতে পারি অবসাদের শিকার হয়েছি আমি। তারপরেই ধীরে ধীরে নাঝেছিলাম কী অসুবিধে হচ্ছে আমার। তাই সাংবাদিকদের উদ্দেশে আমার প্রার্থনা, ভালো হোক তাঁদের!'
প্রসঙ্গত, শোয়ের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ কৌতুক অভিনেতা সুনীল গ্রোভারের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে তাঁকে দারুণ অপমান করেছিলেন কপিল। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কপিলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় তাঁর অনুরাগীরা। নেটপাড়াও কপিলের সমালোচনায় সোচ্চার হয়। ধীরে ধীরে তার প্রভাব পড়ে কপিলের পেশাগত জীবনেও। এমনকি শেষপর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় কপিলের শো-ও। নিজের বক্তব্যের শেষে 'দ্য কপিল শর্মা শো' এর সঞ্চালকের সংযোজন, 'একমাত্র গিনির অক্লান্ত চেষ্টার ফলেই ফের একবার এই শো শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ধীরে ধীরে ফিরে পেয়েছিলাম আমার পুরোনো, পরিচিত জীবন'।