বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Kar Kache Koi Moner Kotha: ‘পরাগ’ হওয়ায় শুনতে হচ্ছে গালমন্দ! মুখ খুললেন কার কাছে কই মনের কথার দ্রোণ

Kar Kache Koi Moner Kotha: ‘পরাগ’ হওয়ায় শুনতে হচ্ছে গালমন্দ! মুখ খুললেন কার কাছে কই মনের কথার দ্রোণ

কার কাছে কই মনের কথা নিয়ে ট্রোলে মুখ খুললেন দ্রোণ।

টিআরপি-তে সপ্তাহখানেক ধরে ভালোই ফল করছে জি বাংলার ‘কার কাছে কই মনের কথা’ সিরিয়ালটি। তবে এই ধারাবাহিকের পরাগ চরিত্রটিকে যেন একেবারে সহ্য করতে পারছে না দর্শকরা। যাতে অভিনয় করছেন দ্রোণ মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি অনলাইনে চলা কটাক্ষ নিয়ে মুখ খুললেন দ্রোণ। 

শুরুর দিনগুলোতে টিআরপি তালিকায় জায়গা করতে না পারলেও ধীরে ধীরে সেরা দশে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছে জি বাংলার ‘কার কাছে কই মনের কথা’ সিরিয়াল। যাতে দেখা মিলছে মানালি দে, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, স্নেহা চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনেত্রীদের। সাবলম্বী না হয়ে বিয়ে করায় কত ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে একজন মেয়েকে, তাই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে এই সিরিয়াল। শিমুল বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে আসার পর থেকেই নানা ধরনের অত্যাচারের মুখে পড়েছে। কখনও খাওয়ার খোঁটা দিচ্ছে শাশুড়ি, কখনও হাত তুলছে গায়ে, রাতে বিছানায় অত্যাচার করছে বর, মাঝরাতে ঘর থেকে বেরও করে দিচ্ছে। অপমান করার সুযোগ ছাড়ছে না ছোট দেওরও। পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করছে বউদির সঙ্গে। 

তবে মানালি থুরি শিমুলের শাশুড়ির চরিত্রটিকে মাঝে মাঝে দেখানো হচ্ছে ইতিবাচক আলোতে। যে বউমা আর মেয়ের কাছে নিজের বিয়ের পরের কষ্টের গল্প শোনায়। বউমার জন্য মনও খারাপ হয়। শুধু নিজের উপর হওয়া অত্যাচার ভুলতে পারে না বলেই, জ্বালাতন করে ছেলের বউকে। তাই রীতা দত্ত চক্রবর্তীর চরিত্রটি একটু সহানুভূতি পেলেও, দর্শকদের কাছে দিদিন অসহ্য হয়ে উঠছে পরাগ। অনলাইনে জমিয়ে চলছে গালাগালি। আর মাঝেমাঝে সেই গালাগালি চলে যাচ্ছে ব্যক্তিগত স্তরে। মানে পরাগ চরিত্রে কাজ করা দ্রোণকেও ছেড়ে কথা বলছে না দর্শকদের কেউকেউ। 

সম্প্রতি এই নিয়ে মুখ খুলল দ্রোণ মুখোপাধ্যায়। এই সময়কে জানালেন, ‘আমাকে অনেকেই বলে টাকার জন্য নাকি এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করছি। শুনতে হয় এতে সমাজে নেগেটিভ প্রভাব পড়ে। লজ্জা করা উচিত। কিন্তু কী আর করা যাবে। মানুষের এই ভাবনায় বদল আনা কখনোই সম্ভব নয়। তবে এমন কিন্তু না যে শুধু নেগেটিভ কমেন্ট পাই। অনেকের জীবনের সঙ্গেই মিলে যায় কার কাছে কই মনের কথা। অনেকেই বলে তাঁরাও এই একই অত্যাচারের কারণে স্বামীর ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে।’

শিমুলের সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনেক বিষয় নিয়ে দ্রোণ স্পষ্ট করে বলেন, অভিনয় করতে আসা মানে সব ধরনের দৃশ্যেই কাজ করতে হবে। দ্রোণের মতে, যে চরিত্রটাকে অভিনয় করা হচ্ছে সেটাকে ভিতর থেকে উপলব্ধি না করলে, চরিত্রের সত্যটাকে সামনে নিয়ে আসা যায় না। আর তাই কোনও দৃশ্য নিয়েই অস্বস্তি লাগলে চলে না। 

 

বন্ধ করুন