চঞ্চল চৌধুরীর ‘হাওয়া’য় মত্ত বঙ্গবাসী। তার মাঝেই আসছে ‘কারাগার ২’। ‘কারাগার ১’ -এর ম্যাজিক মনে আছে নিশ্চয়? চঞ্চল চৌধুরীর সেই দৃষ্টি, সেই অভিনয়? সেই ম্যাজিক নিয়েই আরও একবার হইচইতে আসছেন অভিনেতা। আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে এই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে এই ওয়েব সিরিজ। তার আগেই তাঁকে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের সঙ্গে আড্ডা দিতে দেখা গেল।
‘বড় বাবু’ আর ‘ছোট বাবু'র আড্ডা জমে উঠেছিল, আর সেখানেই উঠে এল নানা অজানা কথা। ছোট বাবু অনির্বাণ মনে করলেন চঞ্চল চৌধুরীর নাটক দেখার সুখস্মৃতি। নিজের এত প্রসংশা শুনে বড় বাবু চঞ্চল তো হেসেই খুন। কিন্তু এই বড় বাবু, ছোট বাবু বিষয়টা কী ভাবছেন?
অনির্বাণ চঞ্চলকে ভালোবেসে ‘বড় বাবু’ বলে ডাকেন, এবং চঞ্চল তাঁকে ‘ছোট বাবু’ বলেন। অনির্বাণ বলেন দশ বছর আগে মামুনুর রশিদের ‘রাড়াং’ নাটক অনুষ্ঠিত হয়েছিল অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে। সেই নাটকের একটি চরিত্রের কথা তিনি স্মরণ করেন। অভিনেতা বলেন, 'সে নাটকে দেখা যায় ব্রিটিশ এবং জমিদার মিলে একটি সাঁওতাল গ্রামের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে এবং সেই গোটা জনজাতিকে তাঁরা নিকেশ করে দিতে চাইছে। আর এই গোটা প্রক্রিয়ায় কে সাহায্যে করছে? সেখানকার স্থানীয় থানার দুই পুলিশ কর্মী। তাঁদের মধ্যে একজন পুলিশের চরিত্র নজর কাড়ে। তিনি একাধারে যেমন শয়তান, তেমন তাঁর চরিত্রের আরেকটি দিক হল ভাঁড়ামো করা। তিনি যেমন বাঁশি বাজান, তেমনই গান গান, আবার অত্যাচার করতেও হাত কাঁপে না।' আর সেই অভিনেতা কে ছিলেন বলুন দেখি? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, তিনি হলেন বড় বাবু চঞ্চল চৌধুরী।
এরপর এই আড্ডায় অনির্বাণের কথা উঠে আসে দুই বাংলার রক্তাক্ত, বেদনাময় ইতিহাসের কথা। এবং তিনি বলেন, এই রক্তাক্ত ইতিহাসের উপর একমাত্র প্রলেপ দিতে পারে শিল্প। শিল্পের এতটা ক্ষমতা আছে বলে তিনি মনে করেন। এবং এই শিল্পের অন্যতম কান্ডারী হিসেবে তিনি চঞ্চল চৌধুরীকে দেখান। তিনি বলেন, চঞ্চল চৌধুরী আদতে একজন চিকিৎসক, যিনি বাঙালিদের সমস্ত অসুখ সারিয়ে তুলতে পারেন।
নিজের এত প্রশংসা শুনে লজ্জায় রাঙা হয়ে ওঠেন ওপার বাংলার চঞ্চল চৌধুরী, যিনি বর্তমানে এই বাংলার অন্যতম সেরা এবং পছন্দের অভিনেতা হয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, 'আমি এত প্রসংশা পাওয়ার যোগ্য নই। আমি কখনও অভিনয়টাই ভালো করে শিখিনি। কী করছি নিজেও জানি না। কখনও ভুলভাল করি, কখনও একটু ঠিকঠাক করি। তোমার সেই ঠিকঠাক ভালো লেগেছে বলে এত কিছু বলছ।'