ফের বিতর্কে করণ জোহর ও তাঁর প্রযোজক সংস্থা ধর্মা প্রোডাকশন। শ্যুটিং শেষে একটি গোয়ার গ্রামকে আবর্জনার স্তুূপে পরিণত করার অভিযোগ ধর্মা প্রোডাকশনের বিরুদ্ধে। স্বভাতই পরিবেশবিদদের রোষের মুখে করণ জোহর। গোটা বিতর্কে নাম জড়াল দীপিকা পাড়ুকোনেরও। কারণ যে ছবির শ্যুটিং শেষে এই নক্কারজনক কাজ করার অভিযোগ উঠেছে তার লিডিং লেডি দীপিকা পাড়ুকোন। জানা গিয়েছে ইউনিটের তরফে ব্যবহার করা পিপিই কিট, মাস্ক, প্লাস্টিকের থালা পর্যন্ত ফেলা হয়েছে। ঘটনার জেরে এন্টারটেনমেন্ট সোসাইটি অফ গোয়ার তরফে শোকজ নোটিশ গিয়েছে ধর্মা প্রোডাকশনের কাছে।
স্বভাবতই এই বিষয় নিয়ে কঙ্গনা রানাওয়াতও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি করণ জোহর ও ধর্মা প্রোডাকশনকে। কঙ্গনা তো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এই ‘ভয়ঙ্কর মনোভাব’ নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। টুইটারে অভিনেত্রী লেখেন- ‘মুভি ইন্ডাস্ট্রি শুধু একটা ভাইরাস নয় যা আমাদের সংস্কৃতি ও নৈতিক আদর্শকে ধ্বংস করছে বরং এটা তো এখন ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠেছে পরিবেশের জন্যও, প্রকাশ জাভেড়করজি এবং পরিবেশ মন্ত্রক দয়া করে দেখুক এই জঘন্য, নোংরা, দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজগুলো তথাকথিত বড় প্রযোজক সংস্থার। দয়া করে সাহায্য করুন’।
সংবাদ সংস্থা আইএএনসের রিপোর্ট অনুসারে, দীপিকা পাড়ুকোন ও সিদ্ধার্থ চতুর্বেদী অভিনীত ছবির শ্যুটিংয়ের যাবতীয় আবর্জনা ফেলা হয়েছে গোয়ার রাজধানী পানজি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রাম নেরুলে। গোয়ার এক পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক এনজিও অবিলম্বে করণ জোহরকে ক্ষমা চাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তা না হলে সমস্ত আবর্জনা মুম্বইতে ক্যুরিয়ার করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে তারা।
গোয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রী বিশ্বজিত্ রানে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে- ‘এটা একেবারেই অনুচিত কাজ, প্রকাশ্যে আবর্জনা এইভাবে ফেলে দেওয়া। যখন ফিল্মের শ্যুটিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়, তখন এই শর্ত থাকা বাধ্যতামূলক যে সংস্থা আবর্জনাগুলির সঠিক বন্দোবস্ত করবে’।
পরিবেশবিদ ফ্লায়েন রেমোডিওস জানান, করণ জোহর কী জুহু, লোখন্ডওয়ালা, ভারসোভাতে এইভাবে আবর্জনা ফেলতে পারতেন? রাস্তার ধারে এইভাবে আবর্জনা ফেলে দেওয়া অপরাধ এবং গোয়ার আইন অনুসারে এটি নিষিদ্ধ'। গোটা বিতর্ক নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি করণ জোহর।