এতদিন অ্যাওয়ার্ড সেরেমানির রেডকার্পেটে করণ মেহরার হাত ধরে কিংবা একসঙ্গে ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপন করতে গিয়ে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়েছেন নিশা রাওয়াল। নিজের মুখেই বললেন, ‘আজ আমি খুব লজ্জিত যে সাংবাদিক বন্ধুদের সঙ্গে এইভাবে মুখোমুখি হচ্ছি’। সোমবার রাতেই স্বামী করণ মেহরার বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনেন নিশা রাওয়াল। নিশার অভিযোগের ভিত্তিতে মুম্বই পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হন ‘ইয়ে রিস্তা ক্যায়া কহলাতা হ্যায়’ খ্যাত তারকা, পরে জামিনে ছাড়া পান তিনি।
জামিন পেয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক আনেন করণ। অভিনেতা দাবি করেছিলেন নিশা নিজেই দেওয়ালে মাথা ঠুকেছেন, তারপর তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়াল শাসানি দিয়েছেন। করণ আরও দাবি করেন, নিশা বাইপোলার ডিসঅর্ডারের শিকার এবং রাগ সংবরণের সমস্যা রয়েছে তাঁর। এটাই নাকি তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কে চিড় ধরবার অন্যতম কারণ।
সাংবাদিক সম্মেলনে স্বামীর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ ক্ষোভ উগরে দিলেও তিনি যে বাইপোলার ডিসঅর্ডারের কবলে পড়েছিলেন তা মেনে নিলেন নিশা। কিন্তু অভিনেত্রী পরিষ্কার বলেন, ‘কিন্তু আমি সাইকো নই’। কাঁদতে কাঁদতে এদিন নিশা জানান, ‘মারাত্মক ট্রমার মধ্যে দিয়ে গেলে মানুষ বাইপোলার ডিসঅর্ডারের শিকার হয়, এবং কখনও কখনও সেটা জিনগত সমস্যার জেরেও হয়। আমি মিথ্যা বলব না, হ্যাঁ, এটা সত্যি আমি এই সমস্যার শিকার হয়েছি এবং এটা নিয়ে আমি লজ্জিত নয়। কিন্তু আমি সাইকো নয়, এটা একটা মুড ডিসঅর্ডার এবং আপনারা জানেন আমি কতখানি ব্যালেন্সড মানুষ। আমি ওয়েবের জন্য কনটেন্ট তৈরি করি, ভিডিয়ো বানাই। আমার কিছু প্রমাণ দেওয়ার দরকার নেই’।
নিশার দাবি ২০১৪ সালে তাঁর গর্ভপাত হয়েছিল, এবং সেই সময় করণ তাঁর পাশে ছিল না। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন নিশা, এবং নিজের সন্তানকে হারিয়ে মারাত্মক ট্রমার শিকার হন। সেই অবস্থাতেও নাকি করণ তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন বলে দাবি করেন নিশা। অভিনেত্রী জানান, সেই সময় থেরাপিস্টের পরামর্শ নিচ্ছিলেন তিনি, কিন্তু পরবর্তীতে করণ সেখানে যাওয়ার পথও বন্ধ করে দেন।
নিশার দাবি, করণ পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, এমনকি তাঁদের একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব নিতেও অস্বীকার করছেন। সেই কারণেই তাঁর ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। উল্লেখ্যে, ৬ বছরের প্রেম সম্পর্কের পর ২০১২ সালে নিশা রাওয়ালের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন করণ। ২০১৭ সালে জন্ম হয় তাঁদের পুত্রের।