নিজের দুই মেয়ে করিশ্মা এবং করিনাকে একা হাতেই বড় করে তুলেছিলেন ববিতা কাপুর। ২০০৭ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে করিনা জানিয়েছিলেন তাঁদের বড় হয়ে ওঠার সময় বাবা রণধীর কাপুরকে মোটেই পাশে পাননি তাঁরা। কাপুর পরিবারের তরফেও বিন্দুমাত্র আসেনি কোনওরকম অর্থ সাহায্য। প্রসঙ্গত 'কাল আজ ঔর কাল' ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার সূত্রেই পরস্পরের প্রেমে পড়েছিলেন রণধীর এবং ববিতা। এরপর সেই ছবি মুক্তি পাওয়ার পরপরই ১৯৭১ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। ১৯৮৮ সাল থেকে রণধীর ও ববিতা আলাদা থাকতে শুরু করেন। বলাই বাহুল্য করিশ্মা ও করিনা তাঁদের মায়ের কাছে রয়ে যান।
এ প্রসঙ্গে মুম্বই মিরর-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে করিনা জানান কীভাবে সম্পূর্ণ একা হাতে তাঁদের দুই বোনকে বড় করে তুলেছিলেন তাঁদের মা। 'বেবো'-র কথায়,' অর্থ উপার্জনের তাগিদে মা সবসময় কিছু না কিছু কাজ করতো। কখনওই ম-কে বেকার বসে থাকতে দেখিনি আমরা। জমি কেনা-বেচার ব্যবসার পাশাপাশি মায়ের আরও কিছু ছোটখাটো ব্যবসা ছিল। সময়টা নিশ্চিতভাবে কঠিন ছিল আমাদের জন্য। তবে এত কিছুর পরেও বলব বাবা কিন্তু আমাদের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ!'
তাঁদের এমন অর্থনৈতিক দুঃসময়ে কাপুর পরিবারের থেকে কোনওরকম সাহায্য পেয়েছেন কি না প্রশ্নের জবাবে পরিষ্কারভাবে এই তারকা-অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন বিন্দুমাত্র অর্থসাহায্য তাঁরা পাননি ওই সময়ে। এমনকি সেই সময়ে রণধীর কাপুরের সঙ্গও খুব বেশি পাননি তাঁরা। যদিও বর্তমানে তাঁদের পারস্পরিক সম্পর্ক খুবই ভালো বলে আশ্বস্ত করেছিলেন 'বেবো'।
জানিয়ে রাখা ভালো, দীর্ঘ বছর পরস্পরের থেকে আলাদা থাকলেও আইনত কখনোও বিচ্ছেদ হয়নি রণধীর এবং ববিতার। এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে রনধীর জানিয়েছেন চেম্বুরে অবস্থিত তাঁদের পারিবারিক বাংলোটি বিক্রি করে দেবেন যত দ্রুত সম্ভব। তারপর ববিতা,করিশ্মা,করিনাদের কাছাকছি থাকার জন্য ওঁদের বাড়ির সামনে একটি বাংলো কিনতে চলেছেন তিনি।