রবিবারই দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন করিনা কাপুর খান। দ্বিতীয়বারেও পুত্র সন্তানের জননী হয়েছেন সইফ ঘরনি। আর দু-দিন পরেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন করিনা কাপুর খান ও সদ্যজাত। এদিন বাড়ি ফেরার পথে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও পাপারাতদিদের ক্যামেরায় লেন্সবন্দি হয় সইফিনার একরত্তি সন্তান।
এদিন ন্যানির কোলে দেখা মিলল দু-দিনের এই একরত্তিকে। সইফিনা পুত্রের মুখ অবশ্য উলটো দিকে ঘোরানো ছিল, তা শত চেষ্টা সত্ত্বেও সেই ছবি লেন্সবন্দি করা যায়নি। কিন্তু তাঁর মাথায় একগোছা চুল নজড় এড়ালো না কারুর। ভাইকে বাড়ি আনতে বাবার কোলে বসে এদিন বেলায় হাসপাতালে পৌঁছায় তৈমুর। আর আধ-ঘন্টার ভিতরেই মা ও ভাইকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সে। বাবার কোলে বসেই ক্যামেরার দিকে তাক করে রীতিমতো পোজ দিলে টিম।
রবিবার কাকভোরে দক্ষিণ মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন করিনা, সেদিন বেলায় সি-সেকশন ডেলিভারি হয় অভিনেত্রীর। চতুর্থবার বাবা হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সইফ বলেন, ‘ ভগবানের আর্শীবাদে আমাদের পুত্র সন্তান হয়েছে। মা ও সন্তান দুজনেই একদম সুস্থ ও সুরক্ষিত রয়েছে। সকলকে অনেক ধন্যবাদ, আমাদের সকল অনুরাগীদের আমরা মন থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাঁদের শুভ কামনা, ভালোবাসা এবং সমর্থনের জন্য’।
সইফিনার দ্বিতীয় সন্তানকে কার মতো দেখতে হয়েছে? সেই কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে ফাঁস করেছেন দাদু রণধীর কাপুর। তিনি পরিষ্কার জানান, ‘আমার তো সব শিশুদের একইরকম দেখতে লাগে, কে জানে… কিন্তু সকলে বলছে একদম দাদার মুখ বসানো। তৈমুরের মতোই নাকি দেখতে হয়েছে ছোট্ট সোনাকে’।
গত বছর অগস্টে যৌথ বিবৃতি দিয়ে দ্বিতীয় সন্তানের আগমনের কথা জানিয়েছিলেন সইফ-করিনা। ২০১২ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন সইফ-করিনা। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে তৈমুরের জন্ম দেন বেবো।
মার্চ মাস অবধি পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছেন সইফ আলি খান, খবর বম্বে টাইমস সূত্রে। ২৫শে মার্চের পর ওম রাউতের আদিপুরুষের শ্যুটিংয়ে যোগ দেবেন চতুর্থবার বাবা হওয়া সইফ আলি খান। তৈমুরের জন্যের আগে যেমন গোটা প্রেগন্যান্সি পর্ব জুড়ে কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন করিনা, এবারও তার অন্যথা হয়নি। আপতত মাসখানেকের বিরতি, ছেলে একটু বড় হলেই তাঁকে সঙ্গে নিয়েই শ্যুটিং ফ্লোরে ফিরবেন করিনা, সে কথা আগেই জানিয়ে রেখেছেন তিনি।