করণ জোহর অনেক ভালো। সঞ্জয়লীলা বনশালির কোনও নীতি নেই, তিনি একজন বিভ্রান্ত মানুষ। খ্যাতনামা পরিচালক সঞ্জয়লীলা বনশালিকে নিয়ে কেরিয়ারের শুরুর দিকে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন করিনা কাপুর। সম্প্রতি তাঁর ৪৪ বছরের জন্মদিনে আরও একবার চর্চায় উঠে এসেছে পুরনো সেই কথা।
কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল?
জানা যায়, অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখার আগে থেকেই 'কাপুর কন্যা' করিনার সৌন্দর্যে মুগ্ধ ছিলেন সঞ্জয়লীলা বনশালি। আর তাই 'হাম দিল দে চুকে সনম' ছবির প্রস্তাব নিয়ে করিনার কাছে হাজির হয়েছিলেন বনশালি। ততে সেসময় করিনা অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। আর তাই সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল ঐশ্বর্য রাইকে। পরবর্তী সময়ে 'দেবদাস' পারো চরিত্রে করিনাকেই কাস্ট করতে চেয়েছিলেন খ্যাতনামা এই পরিচালক। যদিও শুরুতে রাজি হননি করিনা। পরে সিদ্ধান্ত বদলে ছবির চুক্তিপত্রে সই করেন বেবো।
আর এরপরই তাঁর সঙ্গে ঘটেছিল অপ্রত্যাশিত ঘটনা। আর তাতেই বেজায় চটেছিলেন করিনা। শুধু চুক্তিপত্র সই-ই নয়, ছবির জন্য ফটোশ্যুটও করে ফেলেছিলেন বেবো। আর তারপরই তিনি জানতে পারেন, তাঁকে সরিয়ে ছবিতে 'পারো' হিসাবে নেওয়া হচ্ছে ঐশ্বর্য রাই কে।
আর তাই এক সাক্ষাৎকারে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ‘কাপুর নন্দিনী’ করিনা। রেগে গিয়ে বলেছিলেন, ‘সঞ্জয়লীলা বনশালি একজন বিভ্রান্ত পরিচালক। তিনি এমন একজন ব্যক্তি, যিনি নিজের কথা রাখতেই জানেন না। তাঁর জীবনে কোনো নীতি-নৈতিকতা নেই। এমনকি আগামীদিনে যদি রাজ কাপুর বা গুরু দত্তের মতো পরিচালকদের পাশে সঞ্জয়লীলা বনশালির নাম বসে, তাহলেও আমি আর কোনওদিনই ওঁর ছবিতে কাজ করব না। পরবর্তী সময়ে আমি যদি একজন ফ্লপ অভিনেত্রী হই, তাহলেও না। এমনিতেও ওঁর সিনেমা আমায় কোনও দিনই অনুপ্রেরণা দেয়নি।’
ক্ষুব্ধ স্বরে করিনা বলেছিলেন, ‘প্রথমে দেবদাস-এর পারো চরিত্রের জন্য আমি রাজিই হইনি। আমাকে হাতে-পায়ে ধরে রাজি করানো হয়। কারণ, বনশালির কথায় বিশ্বাস করেছিলাম। তারপরেই উনি আমার সঙ্গে এই কাণ্ড করলেন। আমি কিন্তু শুরুতেই জানিয়েছিলাম যে পারো চরিত্রটির যা বয়স তার তুলনায় আমার বয়স যথেষ্ট কম।’
করিনা আরও বলেছিলেন, আমার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটার পরদিনই করণ জোহর এবং সুভাষ ঘাইয়ের মতো পরিচালক ওঁদের নতুন ছবিতে আমাকে সই করালেন। আর আমার মনে হয় বনশালি পরিচালক হিসাবে করণ এবং সুভাষজীর নখের যোগ্যও নয়! উনি ওঁর এই শয়তানির সাজা একদিন পাবেন!'