ক্রিকেটের ইতিহাসের সঙ্গে মিলেমিশে রয়েছে পতৌদি বংশের ইতিহাস। সইফ আলি খানের দাদু ইফতিখার আলি খান পতৌদি ১৯৪৬ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। তিনিই একমাত্র টেস্ট ক্রিকেটার যিনি কিনা ভারত ও ইংল্যান্ড দুই দলের হয়েই খেলেছেন। ক্রিকেটের পাশাপাশি রাজকুমার হিসাবে সামলেছেন পতৌদি সাম্রাজ্য। পরে তিনি নবাব খেতাবও পান। তাঁর ছেলে অর্থাৎ সইফের বাবা মনসুর আলি খান পতৌদিও ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। তবে বংশ পরম্পরায় সইফের আর ক্রিকেট খেলা হয়নি। মা শর্মিলা ঠাকুরের পথে হেঁটে অভিনয়কে পেশা করেছেন সইফ।
তবে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ রয়েছে টাইগার পতৌদির নাতি তৈমুর আলি খানের। তবে তৈমুরই কি দাদুর পুরনো গৌরব ফিরিয়ে আনবে? সম্প্রতি বল নেট প্র্যাকটিস করতে দেখা গেল তৈমুরকে। এক্ষেত্রে করিনা পুত্রের সঙ্গী তাঁর বাবা সইফ। তিনিও কিন্তু ক্রিকেটটা মন্দ খেলেন না। আর তাই ব্যাট হাতে ক্রমাগত ছেলেকে যোগ্য সঙ্গত করছিলেন। লর্ডসের মাঠে চলছিল এই নেট প্র্যাকটিস।
বাবাকে কী ধরনের বল করতে সে চলেছে, তৈমুরকে প্রশ্ন করতেই উত্তর এল 'ইয়র্কর'। যেমন বলা তেমনি কাজ, খানিকটা 'ইয়র্কর' স্টাইলেই বল করে ফেলল তৈমুর। এদিকে খেলা শেখানোর ফাঁকে ক্রিকেটের সঙ্গে জুড়ে থাকা পারিবারিক ইতিহাসও ছেলেকে শোনালেন সইফ।
লর্ডসে মাঠের ভিতরে ক্রিকেট অ্যাকাডেমির সেশন চলাকালীন ক্রিকেট নিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে দেখা গেল তৈমুরকে। একটা ভিডিয়োতে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার উসমান আফজালের নির্দেশাবলী মনোযোগ সহকারে শুনতে এবং সেগুলি অনুসরণ করতে দেখা গেল ছোট্ট তৈমুরকে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন তৈমুরের একাধিক ভিডিয়ো নেটদুনিয়ায় উঠে এসেছে।
এখন প্রশ্ন বংশ গৌরব, ঐতিহ্য মেনে দাদুর পথে হেঁটে তবে কি ক্রিকেটার হওয়ার পথেই এগোচ্ছে ছোট্ট তৈমুর? করিনা অবশ্য আগেই বলেছিলেন, তাঁর ছেলে তৈমুরকে অভিনয়-ই করতে হবে, এমন ভাবনা তাঁর নেই, তৈমুর ক্রিকেট খেলতে পারে, কিংবা অন্যকিছুও পেশা হিসাবে বেছে নিতে পারে।
প্রসঙ্গত, সইফ-অমৃতা পুত্র ইব্রাহিম আলি খানও অবশ্য ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসেন, খেলেনও নেহাত মন্দ নয়। তবে ক্রিকেটকে কেরিয়ার করার কথা ভাবলেও সেভাবে তিনি এই খেলাকে নিয়ে এগোতে পারেননি। অগত্যা অভিনয়কেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন ইব্রাহিম। তৈমুর শেষপর্যন্ত কোন পথে এগোবে তা ভবিষ্যৎই বলবে।