সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে কিছু কম চর্চা হচ্ছে না। ঘটনার দিন করিনা কোথায় ছিলেন? করিনা কেন সইফের সঙ্গে ছিলেন না, এসব নিয়ে নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন। এদিকে এসবেরই মাঝে সোশ্য়াল মিডিয়ায় হঠাৎই রহস্য়ময় পোস্ট করলেন করিনা। এবার সেটা নিয়েই শুরু হয়েছে বিস্তর চর্চা। কিন্তু কী এমন লিখেছেন সইফ ঘরণী?
‘বিয়ে, বিচ্ছেদ, উদ্বেগ, সন্তানের জন্ম, প্রিয়জনের মৃত্যু, অভিভাবকত্বের মতো বিষয়গুলি আপনি কখনওই বুঝবেন না যতক্ষণ না এগুলো আপনার সঙ্গেও ঘটছে। ততক্ষণ সত্যিই কিছুই বোঝা সম্ভব নয়। জীবনের কোনও পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন ধারণা ও কল্পনা কখনওই বাস্তব নয়। আপনি হয়তো ভাবেন, অন্যদের চেয়ে আপনি বেশি বুদ্ধিমান। যতক্ষণ না আপনাকে এই কঠিন পরিস্থিতিতেও নমনীয় থাকার পাঠ দেয়। এই সমস্ত বিষয় আপনার সঙ্গে ঘটলে তবেই আপনি সবকিছু বুঝবেন।’

নিজের ইনস্টাস্টোরিতে শনিবার এমনই হেঁয়ালিপূর্ণ পোস্ট করেছেন বেবো। তাঁর এই পোস্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করেছেন নেটিজেনরা। তবে ঠিক কী কারণে করিনা এই দার্শিক পাঠ দিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। প্রশ্ন উঠছে তবে কি তিনি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই এমনটা লিখেছেন! প্রশ্ন উঠছেই।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি সইফ আলি খানের বাড়িতর ১১ তলায় ঢুকে পড়েন এই দুষ্কৃতী। জানা যায়, ওই দুষ্কৃতী প্রথমে সইফ-করিনার বাড়ির পরিচারিকার মুখোমুখি হন। চিৎকার চেঁচামিচি শুনে বেরিয়ে আসেন সইফ। তখনই তাঁর সঙ্গে হাতাহাতি হয় ওই দুষ্কৃতীর। সেসময়ই ওই দুষ্কৃতী সইফের পিঠে বেশ কয়েকবার ছুরি দিয়ে আঘাত করে বলেই জানা গিয়েছিল। এমনকি ছুরির ভাঙা টুকরো অভিনেতার পিঠে গেঁথে গিয়েছিল। সেটাই লীলাবতি হাসপাতালে অপারেশন করে বের করতে হয়েছে। তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে দিব্যি হেঁটে বাড়িতে ঢোকেন সইফ। এত বড় ঘটনার পরও তাঁকে এতটা ফিট দেখে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। প্রশ্ন ওঠে ঘটনার দিন করিনা কেন সইফের সঙ্গে হাসপাতালে গেলেন না!
এদিকে সইফের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বঘোষিত ফিল্ম সমালোচ কামাল আর খান। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লিখেছিলেন, ‘সইফকে ছ’বার ছুরি দিয়ে কোপানো হল অথচ আক্রমণকারী সইফ একটা আঁচড় পর্যন্ত দেননি! যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া ব্যক্তিও মুখের কোনও মিল নেই। আমার তো মনে হয় সে রাতে আদৌ ওদের বাড়িতে কেউ আসেনি। এটা আসলে সইফ-করিনার ঝগড়ার পরিণতি।’ এভাবেই সইফের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আরও অনেকেই।