সইফ আলি খান বর্তমানে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং একাধিক অস্ত্রোপচারের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। এর মধ্যে তাঁর এবং সইফের বাড়ির সামনে ভিডিয়ো শ্যুট করতে আসা এক পাপারাৎজির উপর আচমকাই বিরক্তি প্রকাশ করলেন ছোটে নবাবের ধর্মপত্নী। অভিনেত্রী তাঁর ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়োটি রি-শেয়ার শেয়ার করেছেন, এবং বিষয়টি সম্বোধন করে একটি নোট লিখেছেন।
পাপারাৎজিদের ভিডিয়ো নিয়ে কটাক্ষ করিনা কাপুরের
সোমবার, করিনা কাপুর ইনস্টাগ্রামে তাঁর এবং সাইফ আলি খানের বাড়ির বাইরে পাপারাৎজিদের ক্রমাগত ভিডিয়ো করে যাওয়া নিয়ে বিরক্তিপ্রকাশ করেছেন। ভিডিয়োতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি বড় বড় খেলনা গাড়ি নিয়ে বাড়িতে ঢুকছেন। আর সেই ফোটোর ক্যাপশনে লেখা আছে, ‘নতুন খেলনা আসছে তৈমুর ও জেহর জন্য’। কারিনা এই ভিডিয়ো ক্যাপচারের সমালোচনা করে লেখেন, ‘এটা এবার বন্ধ করুন। একটু তো হৃদয় রাখুন। ঈশ্বরের দোহাই, আমাদের একা থাকতে দিন।’ যদিও পরে তিনি সেই পোস্টটি ডিলিট করে দেন।

কী হয়েছে সইফ আলি খানের?
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে চুরির চেষ্টা করা হয় সইফ আলি খানের বাড়িতে। হামলাকারী তাঁর ছোট ছেলে জেহ-র ঘরে প্রবেশ করে, ন্যানিকে আঘাত করে। আর ছেলে ও ছেলের আয়াকে বাঁচাতে এগিয়ে এসে আততায়ীর সামনে দাঁড়ান অভিনেতা। গোটা দেহ ৬বার আঘাত করা হয়েছিল। মেরুদণ্ডের পাশে গুরুতর চোট পান সইফ, ক্ষত ছিল ঘাড়েও।
তবে সোমবার হাসপাতাল থেকে সইফকে ছাড়ার কথা থাকলেও, তা হচ্ছে না। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় ডঃ নীতিন ডাঙ্গে বলেন, সইফকে আরও একদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে এবং আগামী এক থেকে দুই দিনের মধ্যে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেই আশা রাখা যাচ্ছে।
কে ছিল আততায়ী?
তবে ভালো খবর হল, ধরা পড়েছে সইফের বাড়িতে হামলা করাসেই ব্যক্তি। দুষ্কৃতীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে বান্দ্রা থানার পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত আততায়ী ভারতীয় নয়। আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। তবে বেশ কিছু ভুয়ো নামের নথি ধরা পড়েছে। সইফের বাড়িতে হামলার খবর মেনে নিয়েছে এই ব্যক্তি। খবর, ৪-৫ মাস আগে নিজেকে বিজয় দাস নামে পরিচয় দিয়ে মুম্বইতে থাকতে শুরু করে। ওই ঘটনা ঘটার পর, বিগত কয়েকদিন ধরে দিদি করিশ্মা কাপুরের বাড়িতেই ছিলেন করিনা ও তাঁর দুই সন্তান তৈমুর ও জেহ।