আপনি কি ৯০-এর দশকের শিশু? মানে এই বছর মোটামুটি ৩০ বছর পেরিয়ে গিয়েছেন বা একদম দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন? তাহলে নিশ্চয় ছোটবেলার সেই পছন্দের ধারাবাহিকটির কথা মনে আছে? ‘করিশ্মা কা করিশ্মা’। ছুটির দিনে টিভির সামনে আয়েশ করে বসে যে ধারাবাহিকটি দেখতে আপনার সঙ্গে সেই ধারাবাহিকের অভিনেতা, অভিনেত্রীদেরও বয়স বেড়েছে। হ্যাঁ, আমাদের স্মৃতিতে হয় সেই সময়টাই আটকে আছে, তবে এই ধারাবাহিকের অন্যতম মুখ্য চরিত্র যিনি ছিলেন সেই ‘বিড়ালচক্ষু’ পুঁচকি মেয়েটি সে এখন পূর্ণবয়স্কা। সম্প্রতি তাঁর বাগদানের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল।
করিশ্মা কা করিশ্মা ধারাবাহিকের ঝনক শুক্লা ছোটবেলায় টিভির পর্দা মাতালেও এখন তিনি অভিনয় জগৎ থেকে শত হস্ত দূরে। আর এই প্রাক্তন অভিনেত্রী সম্প্রতি তাঁর জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন। তিনি একজন জিম ট্রেনারের সঙ্গে বাগদান সারলেন। তাঁর ফিয়নসের নাম স্বপ্নীল সূর্যবংশী। ঝনকের মাও একজন বিখ্যাত অভিনেত্রী। তাঁর নাম সুপ্রিয়া শুক্লা। তিনিই তাঁর মেয়ের বাগদানের অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ছবি তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজে শেয়ার করেছেন।
তবে ঝনকের মা একা নন, প্রাক্তন অভিনেত্রী নিজেও তাঁর হবু স্বামীর সঙ্গে বেশ কিছু ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। তাঁদের একত্রে বসে থাকতে দেখা যায় সেই ছবিগুলোতে। এই বাগদানের অনুষ্ঠানে কেবল তাঁদের আত্মীয় এবং পরিবারের লোকজনরা উপস্থিত ছিলেন। অভিনেত্রীর এই পোস্টের কমেন্টে সেকশন শুভেচ্ছা বার্তায় ভরে গিয়েছে। সুপ্রিয়া শুক্লার সহ অভিনেতারা যেমন, স্মৃতি ঝা, কানওয়ার ধিলন, মোহিত হীরানন্দিনী, অভিকা গর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নবদম্পতিকে।
মাত্র ১৫ বছর বয়সেই অভিনয় থেকে সরে যান ঝনক। করিশ্মা কা করিশ্মা ধারাবাহিকের পর তাঁকে ‘কাল হো না হো’ ছবিতে দেখা যায় শাহরুখ খান এবং প্রীতি জিন্টার সঙ্গে। এছাড়া তিনি একটি হলিউডের ছবি, ‘ওয়ান নাইট উইথ দ্য কিং’য়ে অভিনয় করেন। একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, তিনি অভিনয় ভালোবাসলেও, পড়াশোনা তাঁর প্রথম প্রায়োরিটি ছিল। আর সেই কারণেই তিনি অভিনয় ছেড়ে পুরোপুরি পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেন। শুধু তিনি একা নন, তাঁর মা বাবাও চেয়েছিলেন তিনি আগে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করুন। এরপর যে পেশা তাঁর ঠিক মনে হবে সেটা যেন তিনি বেছে নেন। আর সেই কারণেই তিনি পুরোপুরি অভিনয় ছেড়ে পড়াশোনায় মন বসান।
আর্কেওলোজিতে মাস্টার্স করেছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী। ছোটবেলায় তিনি অভিনেত্রী হতে চাইলেও এখন বোঝেন অভিনয়টা পেশা হিসেবে মোটেই সহজ নয়। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে একবার জানিয়েছিলেন তিনি তাঁর সমস্ত ধ্যান জ্ঞান তাঁর ব্যবসায় দিতে চান। তিনি সাবান বানানোর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তিনি আরও জানান যে একবার তাঁর ব্যবসা দাঁড়িয়ে গেলে তিনি পাহাড়ে গিয়ে থাকবেন। এমনটাই তাঁর পরিকল্পনা।