২০২৪ সালেই মুক্তি পেয়েছিল কার্তিক আরিয়ান অভিনীত চান্দু চ্যাম্পিয়ন ছবিটি। সেখানেই অভিনেতা মুরলিকান্ত পেটকরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যিনি ভারতের হয় প্রথমবার প্যারাঅলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন। এদিন তিনি অর্জুন লাইফটাইম অ্যাওয়ার্ড পেতেই প্রতিক্রিয়া দিলেন কার্তিক।
কী ঘটেছে?
স্পোর্টসে অবদানের জন্য ভারতের হয়ে প্যারাঅলিম্পিকে স্বর্ণ পদকজয়ী মুরলিকান্ত পেটকরকে অর্জুন লাইফটাইম অ্যাওয়ার্ড দিচ্ছে ভারতীয় সরকার। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিক্রিয়া জানালেন কার্তিক। কার্তিক আরিয়ান কবীর খানের পরিচালনায় এই মুরলিকান্ত পেটকরের চরিত্রেই অভিনয় করেছিলেন বড় পর্দায়। তিনি এদিন জানালেন তিনি দারুণ খুশি, এই প্রাপ্তি যেন তাঁর, এমনটাই মনে হচ্ছে অভিনেতার।
আরও পড়ুন: শববাহী শকটেই শ্মশানে এলেন দেব - রুক্মিণী, অরুণ রায়ের শেষকৃত্যে শিশুর মতো কেঁদে ফেললেন ‘বিনোদিনী’
কার্তিক আরিয়ান এদিন ANI -কে বলেন, 'ভীষণ ভীষণ খুশি এই খবরটা পেয়ে। ওঁর বায়োপিকে যখন কাজ করেছি তখন ওঁর জীবনের ব্যাপারে আরও অনেক বিস্তারিত ভাবে, গভীর ভাবে জানতে পেরেছি। ওঁর ঘনিষ্ট হয়েছি। আজ তাই তাঁর এই জয়কে নিজের জয় বলে মনে হচ্ছে।' তিনি এদিন আরও বলেন, 'উনি ওঁর গোটা জীবন ধরে এমনি শক্তিশালী মনোভাবের, দুর্দমনীয় হয়ে থেকেছেন এই যতই জীবন ওঁকে একটার পর একটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিক না কেন। আমি অনেক স্পোর্টস ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে দেখা করেছি, কিন্তু ওঁর মতো হাবভাব, ব্যবহার, স্পোর্টসম্যানশিপ, শিরদাঁড়া সোজা করে বাঁচেন এমন কাউকে দেখিনি। ওঁর এই খেতাব জয়ের খবর শুনে বছরটা শুরু করতে পেরে দারুণ লাগছে। মুরলিকান্ত স্যার আপনি দেশের সবথেকে সেরা চ্যাম্পিয়ন।'
এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো ১৯৪৪ সালে জন্মগ্রহণ করা এই অ্যাথলিট ১৯৭২ সালের গ্রীষ্মকালীন প্যারাঅলিম্পিকে সোনা জেতেন। প্যারাঅলিম্পিকে সেটাই ছিল ভারতের প্রথম পদক। তাঁকে চান্দু চ্যাম্পিয়ন বলেও ডাকা হতো। সেই থেকেই কবীর খান তাঁর ছবির নাম রাখেন চান্দু চ্যাম্পিয়ন।