অনেকেই জানেন না, ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ সিনেমার অসাধারণ সাফল্যের ঠিক কিছু মাস আগেই একটি বায়োপিকে অভিনয় করেছিলেন কার্তিক আরিয়ান। ভারতের প্রথম প্যারা অলিম্পিক স্বর্ণপদক বিজয়ী মুরলীকান্ত পেটকারের জীবনী সিনেমার পর্দায় তুলে ধরেছিলেন কার্তিক। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন কবির খান।
চান্দু চ্যাম্পিয়ন ছিলেন একজন সফল ক্রীড়াবিদ। এই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য যে অভিনেতাকে শারীরিক ক্রিয়া-কলাপের দিক থেকে দক্ষ হতে হবে, তা বলাই বাহুল্য। স্বাভাবিকভাবেই সিনেমার স্ক্রিপ্ট নিয়ে যখন কার্তিকের সঙ্গে কথা বলছিলেন পরিচালক, তখন কার্তিক সাঁতার জানেন কিনা তা জিজ্ঞাসা করেছিলেন কবির। সিনেমার স্ক্রিপ কার্তিকের এতটাই পছন্দ হয়েছিল যে তিনি মিথ্যা কথা বলেছিলেন যে তিনি সাঁতার জানেন।
কার্তিক বলেন, ‘আমার স্ক্রিপ্ট ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু কবির স্যার যখন আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আমি সাঁতার জানি কিনা। তখন আমি মিথ্যা কথা বলেছিলাম যে হ্যাঁ আমি পেশাদার সাঁতারু ছিলাম। কিন্তু বাস্তবে কোনও রকমে সাঁতার কাটতে পারি আমি। নিজেকে ভাসিয়ে রাখার মত আর কি।’
কার্তিক আরও বলেন, ‘সাঁতার কাটার বিষয় নিয়ে মিথ্যে কথা বলার জন্য সিনেমার অফার পেয়েছিলাম ঠিকই কিন্তু সাঁতার শিখতে হয়েছিল প্রায় দেড় বছর ধরে। একটা ১.৫ মিনিটের মিথ্যা কথা বলার জন্য ১.৫ বছর খরচ হয়ে গেল আমার’। (মজার ছলে বললেন অভিনেতা)
চান্দু চ্যাম্পিয়ন সিনেমায় অভিনয় করার জন্য নিজের শারীরিক গঠনে বিরাট পরিবর্তন আনতে হয়েছিল কার্তিককে। দেড় বছর ধরে সাঁতার শেখার পাশাপাশি ওজন কমাতে হয়েছিল ব্যাপক হারে। এই সিনেমায় একেবারে অন্যরকম একজন কার্তিককে মানুষ দেখেছিল সিনেমার পর্দায়।
আরও পড়ুন: বানিয়েছেন ৩৪০০ কোটির সাম্রাজ্য, তবুও বিজনেস ক্লাস বা প্রাইভেট জেটের বদলে ইকোনমি ক্লাসেই খুশি বিবেক!
আরও পড়ুন: এক সেকেন্ডে নজর কাড়ল মগনলাল, 'ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর'-এর ট্রেলার দেখে ফেলুদার জন্য তর সইছে না নেটপাড়ার
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রথম প্যারা অলিম্পিক স্বর্ণপদক বিজয়ী মুরলীকান্ত পেটকার ১৯৪৪ সালের ১ নভেম্বর মহারাষ্ট্র জন্মগ্রহণ করেছিলেন। জীবনের সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে তিনি একের পর এক পদক জয় করেছিলেন। কুস্তি এবং হকিতে বিশেষভাবে পারদর্শী ছিলেন তিনি।
চান্দু চ্যাম্পিয়ন সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন কবির খান। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছিলেন সাজিদ নাদিয়াওয়ালা এবং কবির খান। সিনেমাটি ২০২৪ সালের ১৪ জুন মুক্তি পেয়েছিল সিনেমার পর্দায়। দুর্ভাগ্যবশত এত ভালো একটি সিনেমা হওয়া সত্ত্বেও সিনেমাটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে।