সিয়িরালে় বয়সে গন্ডি ষাটের কোটা পার করেছে। নাতি-নাতনিদের নিয়ে সংসার রানি রাসমণির। তবে রিয়েল লাইফে অষ্টাদশী দিতিপ্রিয়া এখনও কার্টুন ছেড়ে এক দণ্ড থাকতে পারেন না। করোনার জেরে এখন ঘরবন্দি রানিমা। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও মাঝপথে স্থগিত হয়েছে। তবে বাড়িতে শুধু বই নিয়ে বসে নেই অভিনেত্রী। এখন তাঁর মন কার্টুন আঁকায়। আসলে শ্যুটিংয়ের ব্যস্ততা সামলে সবসময় নিজের মনের ইচ্ছাগুলো পূরণ করা হয় না। কিন্তু এখন দিতিপ্রিয়ার জন্য বিস্তর সময়। এখন আর কী করছেন তিনি? বুধবার এমন অনেক তথ্যই ফাঁস করলেন অভিনেত্রী। ইনস্টাগ্রামে কৃষ্ণকলির হিরো নিখিল নামে অভিনেতা নীল ভট্টাচার্যের সঙ্গে আড্ডা দিলেন দিতিপ্রিয়া।
আড্ডার শুরুতেই নীলের কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়েন দিতিপ্রিয়া। এত কম বয়সে রানি রাসমণির ষাটোর্ধ চরিত্রটি কেমনভাবে ফুটিয়ে তুলছেন তিনি? অসুবিধা হয় না? পর্দার রানিমার সাফ জবাব, আমি মেথড অ্যাক্টর নই। তবে রানি রাসমণির ছোট বয়স থেকেই সেই চরিত্রটা আমি করছি। যখন রাসমণির বয়স মাত্র ১১। তাই ধাপে ধাপে আমি আমার অভিনয়ের গ্রাফটা বদলেছি। শুরুতে এটা ঠিক ছিল না যে আমিই রাসমণির শেষপর্বের চরিত্রটাও করব। কিন্তু দর্শকদের ভালোবাসায় সেটা সম্ভব হয়েছে'।
তিনি যোগ করেন, 'রাসমণির জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এখন সিরিয়ালে চলেছে। দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রতিষ্ঠার পরবর্তী সময়। আমার বয়সের চেয়ে চারগুণ বড়ো সেই চরিত্র। মানে আমার নাতি-নাতনি হয়ে গিয়েছে, আমি দিদিমা হয়ে গেছি'।
ঘরবন্দি থাকার সবচেয়ে ভালো দিক হিসাবে দিতিপ্রিয়া জানান, আমরা যারা রোজ শ্যুটিং করি তারা তো সবসময় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারি না, কিন্তু এখন বাবা-মার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি, কার্টুন আঁকছি, নিজের প্রিয় ওয়েব সিরিজ দেখছি। পুরো কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ডটা এঁকেই কাটাব ঠিক করে ফেলেছি।
দিতিপ্রিয়া কার্টুন দেখতেও প্রচন্ড ভালোবাসেন। মটু পাতলু এবং শন দ্য শিপ হল দিতিপ্রিয়ার সবচেয়ে পছন্দের কার্টুন। আড্ডার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতেও ভুললেন না অভিনেত্রী। দিতিপ্রিয়ার নিজের একটি সারমেয় রয়েছে পপকর্ন। পথকুকুর-বিড়ালদের নিয়ে চিন্তিত রানিমা। দিতিপ্রিয়ার কথায় 'ওদেরও বাঁচার অধিকার আছে। আমরা নিজেদের জন্য যে খাবার জোগাড় করছি সেটা যদি নিজেদের বাড়ির আশেপাশের কুকুর-বিড়ালদের খেতে দি সেটাই যথেষ্ট। এবং কুকুর-বিড়ালদের থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায় না। তাই দয়া করে ওদেরকে একটু খেতে দিন'।